বর্তমানে ভোডাফোন আইডিয়া, রিলায়েন্স জিও এবং এয়ারটেলের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে বলে মনে হচ্ছে। এই কোম্পানির বাজার শেয়ার ও মুনাফা দুটোই কমছে। যদিও Vodafone Idea আজকাল 5G নেটওয়ার্ক পাওয়ার পথে দ্রুত এগিয়ে চলেছে, কিন্তু TRAI-এর তথ্য অনুসারে, ভারতীয় মোবাইল ইউজাররা এই সংস্থা থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন। সূত্র অনুযায়ী একটি বড় খবর সামনে এসেছে, যেখানে বলা হয়েছে যে ভোডাফোন আইডিয়া মধ্যপ্রদেশে প্রায় 8 হাজার সিম কার্ড ব্লক করেছে।
মিডিয়া রিপোর্টের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, Vi অর্থাৎ ভোডাফোন আইডিয়া কিছুদিন আগে মধ্যপ্রদেশের প্রায় 8 হাজার সিম কার্ড ব্লক করেছে। সংস্থাটি সাইবার পুলিশের নির্দেশের পরে এটি করেছে, আসলে রাজ্যের বিভিন্ন টেলিকম সংস্থাগুলিকে জাল আইডি কার্ড এবং জাল পরিচয়ে জারি করা সিমগুলি ব্লক করতে বলা হয়েছিল। সাইবার সেলের দ্বারা জানানোর পরেই, ভোডাফোন আইডিয়া কঠোর পদক্ষেপ নেয় এবং প্রায় 7,948টি এমন নম্বর খুঁজে পায় যা জাল পরিচয়পত্রে জারি করা হয়েছিল। কোম্পানি শুধুমাত্র জালিয়াতি আইডিতে জারি করা এই ভিআই সিম কার্ডগুলিকে ব্লক করেছে৷
কেন ব্লক হল এত গুলো সিম কার্ড?
পুরো ব্যাপারটা এমন যে, মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তি ফেসবুকে একটি বিজ্ঞাপন দেখে গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই গাড়িটি কেনার জন্য ওই ব্যক্তি ফোনে কয়েকজনের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন এবং নতুন গাড়ির জন্য প্রায় 1. 75 লাখ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে গাড়ি না দিয়ে ফোন নম্বর বন্ধ করে দেন। এই প্রতারণার কথা পুলিশকে জানালে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে জানা যায়, যে ফোন নম্বর থেকে ডাকাতরা ফোন করেছিল সেটি অন্য কারও নামে নথিভুক্ত।
অর্থাৎ যে মোবাইল নম্বর থেকে কথা হয়েছিল, সেই নম্বরটি ছিল অন্য কারও নামে। পুলিশ বিষয়টির গভীরে গেলে আরও চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে আসে। এমপির কাছ থেকে এই প্রতারণা করেছে 8 জনের একটি চক্র। এই গুণ্ডারা প্রায় 20 হাজার বিভিন্ন নম্বর ব্যবহার করে ডাকাতি করত। কোম্পানির ইস্যুকৃত ডুপ্লিকেট বা নকল সিম পেয়ে অন্য ব্যক্তির আইডি ব্যবহার করছিলেন এসব ব্যক্তি। এই গ্যাংটিতে এমন লোকও অন্তর্ভুক্ত ছিল যারা টেলিকম কোম্পানিগুলির সিম দেওয়ার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া জানত এবং এই কাজের সাথে যুক্ত ছিল। এই ঘটনার পরই পুলিশ জাল আইডি কার্ড এবং ভুয়ো পরিচয়পত্রে দেওয়া সমস্ত সিম কার্ড ব্লক করার নির্দেশ দেয়।
Sim Card কেনার আগে এই বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখুন-
শুধুমাত্র Authorized Store থেকেই কিনুন : Jio, Airtel, Vi বা BSNL, আপনি যেই কোনও কোম্পানিরই নতুন সিম কার্ড কিনুন না কেন, অবশ্যই মনে সেটি যেন কোনো অনুমোদনপ্রাপ্ত স্টোরেরই সিম হয়। টেলিকম কোম্পানির স্থায়ী কর্মচারীরা এই ধরনের দোকানে কাজ করে এবং সেখানে যে কোনো ধরনের প্রতারণার সম্ভাবনা খুবই কম।
Pre-Activated সিমকার্ড কিনবেন না : আপনি সিম কার্ডের জন্য যেই দোকানে যান না কেন, দেখবেন আপনাকে যেন শুধুমাত্র একটি নতুন এবং প্যাকেজড সিম দেওয়া হয়। সিম কার্ডে লেখা নম্বরটি সেই সিল করা প্যাক প্যাকেটের সাথে মিলিয়ে নিন, যাতে সেই সিমটি প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম না হয় সেটাও দেখবেন।
টেলি ভেরিফিকেশন করুন : একটি নতুন সিম কার্ড পাওয়ার পরে, টেলি ভেরিফিকেশন করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।টেলি-ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে আপনার সব ডকুমেন্ট এবং আপনার পরিচয় পত্রের ভেরিফিকেশন ভীষণ জরুরি। যদি কোনো দোকানদার বলেন যে টেলি-ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন নেই, তাহলে ভাববেন কিছু গন্ডগোল আছে।
ডকুমেন্ট এ ডিটেল লিখে রাখবেন : আপনি যখন সিম কার্ড কেনার জন্য আপনার নথি জমা দেবেন, তখন তার মধ্যে আপনার নাম, তারিখ এবং ইস্যু করা সিম কার্ড সম্পর্কিত যে কোনও বিবরণ লিখবেন। এটি প্রয়োজনীয় কারণ প্রতারকরা আপনার নথিতে একটি দ্বিতীয় সিম ইস্যু করতে পারে। তাই অতিরিক্ত ডকুমেন্টস দেবেন না।
আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন