ভারতে এখনও পর্যন্ত 5G এসে পৌঁছায়নি, আসতে চলেছে মাত্র। তবে, বিভিন্ন টেলিকম কোম্পানি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই তাদের 5G ট্রায়াল চালিয়ে যাচ্ছে। এবার খবর পাওয়া গেছে দেশের সরকার মোবাইলের 6G নেটওয়ার্কের ট্রায়াল সম্পর্কে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে। টেলিকম বিভাগ এর জন্য সরকারি টেলিকম রিসার্চ কোম্পানি সী-ডট (C-DoT) এর হাতে দায়িত্ব দিয়েছে। সী-ডটকে মোবাইলের 6G নেটওয়ার্কের ওপর কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। Telecom Secretary K Rajaraman সী-ডটকে 6G সম্পর্কিত সমস্ত দিকগুলি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করতে বলেছেন। সময় মতো কাজ শুরু করার অন্যতম মূল উদ্দেশ্য বিশ্বের মার্কেটে অন্যান্য বড় দেশ ও কোম্পানিগুলিকে টেক্কা দেওয়া।
2030 এর মধ্যেই আসতে পারে 6G
বিশ্বের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য টেক কোম্পানি যেমন স্যামসাং, হুয়াই, এলজি প্রভৃতি অনেক আগে থেকেই 6G টেকনোলজি নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। মনে করা হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে 6G টেকনোলজি 5G এর তুলনায় 50 গুণ দ্রুত ডাউনলোড স্পীড দিতে সক্ষম হবে। এছাড়া বর্তমানে ধারণা করা হচ্ছে আগামী 2028-30 সালের মধ্যে গোটা বিশ্বে 6G টেকনোলজি লঞ্চ এবং সক্রিয় হয়ে উঠবে। এই মুহুর্তে দাঁড়িয়ে ভারতসহ আরও বেশ কিছু দেশ 5জি টেকনোলজির ট্রায়াল করছে। একই সময় টেলিকম বিভাগের 6G সম্পর্কে এতটা মাথা ঘামানো দেখে অবাক হতে হয়।
জানিয়ে রাখি 5G এর ডাউনলোড স্পীড প্রতি সেকেন্ডে 20 গিগাবাইট (GBPS) পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। কিন্তু মোবাইল কোম্পানিগুলি কতটা স্পীড দেবে সেটাই দেখার। কয়েক দিন আগে ভোডাফোন আইডিয়ার করা 5G ট্রায়ালের সময় সর্বোচ্চ স্পীড দেখা গেছে 3.7 জিবিপিএস। এছাড়া কয়েক দিন আগে এয়ারটেল গ্ৰামীণ এলাকায় তাদের 5G ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে।
LG করেছে 6G ট্রায়াল
কিছু দিন আগে জার্মানির বার্লিন শহরে এলজি ও ফ্রনহফার-গ্যাসেলশফট যৌথভাবে একটি টেস্ট চালায়। এই টেস্টে 6G টেকনোলজি ব্যবহার করে Fraunhofer Heinrich Hertz Institute (HHI) থেকে Berlin Institute of Technology পর্যন্ত ডেটা ট্রান্সফার করা হয়। এক্ষেত্রে দূরত্ব ছিল 100 মিটার এবং সফলতার সঙ্গে ডেটা রিসিভ ও ট্রান্সফার উভয় টেস্ট করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা কোনো ল্যাবের পরিবর্তে এই টেস্ট করা হয়েছে বাইরের প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতে।
আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন