5G আসার জন্য প্রস্তুত কিন্তু তার পরেও ভাল মানের 4G internet Speed এর জন্য আকুল ভারতীয়রা

5G Trials ভারতে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে এবং Reliance Jio, Airtel ও Vi-এর মতো টেলিকম সংস্থাগুলি দ্রুত তাদের নেটওয়ার্ক এবং প্রজেক্ট প্রসারিত করছে৷ ভারত সরকার কয়েক মাসের মধ্যে 5G স্পেকট্রাম নিলাম করবে, তার পরে ভারতীয় মোবাইল ইউজাররা এই বছরের শেষ নাগাদ 5G নেটওয়ার্ক এবং 5G ইন্টারনেট স্পিড পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মোবাইল টেকনোলজি তার নতুন জেনারেশন এর উপর আপগ্রেড করতে চলেছে, যদিও ভারতে পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা। একদিকে, যেখানে 5G নেটওয়ার্কে শক্তিশালী কভারেজ এবং সুপার ফাস্ট ইন্টারনেট দেওয়ার দাবি করা হচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ জনগণ এবং মোবাইল ইউজাররা বিদ্যমান 4G নেটওয়ার্কে একটি আদর্শ ইন্টারনেট স্পিড এর জন্য ব্যকুল হয়ে গেছে। স্মার্টফোন ইউজাররা 4G ইন্টারনেট নিয়ে এতটাই চিন্তিত যে তারা 5G আসার আগে রিলায়েন্স জিও, এয়ারটেল এবং ভিআইকে তাদের 4G ইন্টারনেটের স্পিড উন্নত করার পরামর্শ দিচ্ছে।

দেশের অনেক এলাকা থেকে এমন তথ্য উঠে আসছে যে তাদের এলাকায় 4G ইন্টারনেটের স্পিড খুবই কম। কিছু মানুষ 91mobiles-এর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে মন্তব্যের মাধ্যমে তাদের সমস্যাগুলি প্রকাশ করছে এবং Jio, Airtel এবং Vi-এর মতো টেলিকম সংস্থাগুলিকে 4G নেটওয়ার্ক উন্নত করার জন্য দাবি করছে। অনেক মোবাইল ইউজারদের বক্তব্য যে তাদের 4G ফোনে ইন্টারনেট 3G এর থেকেও কম স্পিডে চলে। একদিকে যেখানে কল ড্রপ এবং সিগন্যাল না পাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়, অন্যদিকে ব্যয়বহুল 4G প্ল্যান নেওয়া সত্ত্বেওর তারা সন্তোষজনক
ইন্টারনেটের স্পিড পাচ্ছেন না।

স্লো ইন্টারনেট স্পিড

আদর্শ 4G ইন্টারনেট স্পিডের কথা বলতে গেলে, গোটা বিশ্বে এর একটি স্ট্যান্ডার্ড সেট করা হয়েছে যে 4G LTE তে ডাউনলোডের স্পিড 150Mbps এবং আপলোড স্পিড 50Mbps পর্যন্ত হওয়া উচিত। একইভাবে, 4G LTE-Advanced-এ, গড় ডাউনলোড স্পিড 300Mbps হওয়া উচিত এবং গড় ডাউনলোড স্পিড 150Mbps পর্যন্ত হওয়া উচিত। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন যে যখন আমরা ভারতের রাজধানী দিল্লির দ্বারকার মতো এলাকায় বসে ইন্টারনেট স্পিড টেস্ট করেছিলাম, তখন আমরা 4.24 Mbps ডাউনলোড স্পিড পেয়েছি এবং ফোন নিজেই আপলোড স্পিড টেস্ট ট্র্যাক করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা Airtel Postpaid সিম এ এই টেস্টটি করেছি এবং মোবাইলটি ছিল iPhone 11!

ভারতে ইন্টারনেট স্পিড

TRAI অর্থাৎ টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া 2022 সালের এপ্রিলের লেটেস্ট ডেটা ভাগ করেছে, যেখানে তিনটি বেসরকারী টেলিকম কোম্পানি Jio, Airtel এবং Vi-এর ইন্টারনেট স্পিডের বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে এপ্রিল মাসে, রিলায়েন্স জিও 23.1Mbps এর গড় ডাউনলোড স্পিড পেয়েছিল যা মার্চ মাসে 21.1Mbps ছিল। এই রিপোর্টে, Jio কে ভারতের ফাস্ট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা অন্যান্য মোবাইল টেলিকম কোম্পানিগুলোর তুলনায় সবথেকে ফাস্ট।

TRAI-এর রিপোর্ট অনুসারে, ভোডাফোন এবং আইডিয়া যুক্ত হয়ে তৈরি Vi-এর গড় ডাউনলোড স্পিড এপ্রিল মাসে 17.7Mbps অনুমান করা হয়েছে। এয়ারটেল নেটওয়ার্কে এই গড় ডাউনলোড স্পিড 14.1Mbps হিসাবে রিপোর্ট করা হয়েছে এবং দেশের সরকারী নেটওয়ার্ক BSNL-এ এর গড় ডাউনলোড স্পিড 5.9Mbps। কাগজে কোন কোম্পানী ইন্টারনেট স্পিড দিচ্ছে সেটা আমরা আপনাদের জানালাম, তবে বাস্তবটা আসলে কি, সেটা মোবাইল ইউজারদের থেকে ভালো কেউ বিচার করতে পারবে না।

জেনে নিন কিভাবে আপনার মোবাইলে ইন্টারনেট স্পিড চেক করবেন

আপনি যদি জানতে চান যে আপনার এলাকায় আপনার নেটওয়ার্ক অপারেটর কত ইন্টারনেট স্পিড দেয়, তাহলে নিম্নলিখিত স্টেপ গুলো অনুসরণ করুন :-

1. প্রথমে আপনার ফোনে ইন্টারনেট ব্রাউজার খুলুন।

2. ওয়েব ব্রাউজারে Internet Speed Test টাইপ করে সার্চ করুন।

3. সার্চ শেষ হওয়ার পরে, আপনি Run Speed Test লেখা দেখতে পাবেন, এটিতে ক্লিক করুন।

4. আপনি Run Speed ​​Test এ ক্লিক করলেই আপনার ফোনে টেস্টিং শুরু হবে।

5. প্রথমে Mbps ডাউনলোড সম্পূর্ণ হবে এবং তার পরে Mbps আপলোড করা হবে।

এইভাবে টেস্ট হয় ইন্টারনেট স্পিড

এই ইন্টারনেট স্পিড টেস্টটি Google এর Measurement Lab (M-Lab) এর সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে করা হয়। এই টেস্টটি সম্পূর্ণ হতে প্রায় 30 সেকেন্ড সময় লাগে। এই 30 সেকেন্ডের মধ্যে, আপনার ফোন এবং নেটওয়ার্ক কানেকশনে কত ডেটা খরচ হয়েছে তা হিসেব করে ইন্টারনেটের স্পিড নির্ধারণ করা হয়। মনে রাখবেন যে আপনার ফোনে ইন্টারনেটের স্পিড পরীক্ষা করার আগে, Wi-Fi বন্ধ করা প্রয়োজন, তবেই এটি আপনার টেলিকম অপারেটরের স্পিড পরিমাপ করতে পারবে। এই পরীক্ষাটি আপনার ফোনের পাশাপাশি ট্যাবলেট, ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার সব জায়গাতেই পরীক্ষা করা যেতে পারে।

আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here