এবার হয়তো দেশের বর্তমান মোবাইল ডেটা ওয়ার সত্যিই শেষ হতে চলেছে। এই নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করার ইঁদুর দৌড়ে প্রতিটি টেলিকম কোম্পানিই বলতে গেলে দুদিন পরপর নতুন প্ল্যান পেশ করে চলেছে। কিন্তু আমাদের পাওয়া একটি নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী এমনটা হয়তো আর খুব বেশি দিন চলবে না। আসলে ভারতী এয়ারটেলের চেয়ারম্যান সুনীল ভারতী মিত্তলের একটি বক্তব্যের পর মনে করা হচ্ছে আগামী দিনে এয়ারটেল গ্ৰাহকদের মোবাইল ডেটা ব্যবহার করার জন্য অতিরিক্ত দাম মেটাতে হবে।
আসলে সুনীল ভারতী মিত্তল ট্যারিফের দাম বাড়ানোর সম্পর্কে হিন্ট দিয়েছেন। তিনি জানান এয়ারটেল ইউজারদের জন্য 160 টাকার বিনিময়ে 16 জিবি ডেটা কোনো ট্র্যাজেডির চেয়ে কম নয়। একটি ইভেন্টের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘হয় এই দামে 1.6 জিবি ডেটা ব্যবহার করুন অথবা আরও বেশি দাম দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হন।’
এই বছরের প্রথম কোয়ার্টারে এয়ারটেলের ARPU বেড়ে 157 টাকা হয়ে গিয়েছিল। ARPU এর বৃদ্ধি গত বছর অর্থাৎ 2019 সালের ডিসেম্বর মাসে ট্যারিফ বাড়ানোর পর লক্ষ্য করা যায়। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যেসব ব্যবসায়ী টেলিকম সেক্টরে নেই তাদেরকেও ডিজিটাল হতে হবে। আগামী 5-6 মাসের মধ্যে একটি শক্তিশালী ARPU প্রয়োজন যার সাহায্যে ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে চলতে পারে। বর্তমানে টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে মাত্র 2-3টি কোম্পানিই রাজত্ব করে চলেছে।’
তিনি বলেন, ‘দামের দিক থেকে ভারত অত্যন্ত সেন্সিটিভ একটি মার্কেট। আগামী ছয় মাসের মধ্যে আমরা 200 টাকার এআরপিইউ লেভেল পেরিয়ে যাব এবং আমাদের জন্য আদর্শ স্তর হবে 250 টাকা এআরপিইউ।’ এসব থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় কোম্পানি আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাদের প্ল্যানের দাম বাড়াতে চলেছে।
মনে করিয়ে দিই গত বছর অর্থাৎ 2019 সালের 30 নভেম্বরের পর রিলায়েন্স জিও, এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া ও বিএসএনএল তাদের রিচার্জ প্ল্যানগুলির দাম বাড়িয়েছিল। গত বছর টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচার জন্য বাধ্য হয়েই ট্যারিফের দাম বাড়াতে হয়েছে। এবারের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, করোনা ভাইরাসের প্রকোপে জারি করা লকডাউনের ফলে বিভিন্ন টেলিকম কোম্পানির যে বিশাল ক্ষতি হয়েছে তা সামলানোর জন্য প্ল্যানের দাম বাড়ানো সত্যিই খুব প্রয়োজন।
আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন