বৈদ্যুতিক যানবাহন পরিবেশের জন্য কতটা উপকারী তা প্রায় সকলেই জানেন। একই সঙ্গে দেশে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম যেভাবে বেড়ে যাচ্ছে সেখানে বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর খরচও অনেক কম। বর্তমানে ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম কিছুটা বেশি, তবে ভবিষ্যতে এই বৈদ্যুতিক গাড়িগুলোই বেশি ব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সরকার এই পথে এগোনোর অনেক চেষ্টা করে চলেছেন এবং এই পর্বে এখন দেশে ইলেকট্রিক বাসও চালু করা হয়েছে। বর্তমানে রাজধানী দিল্লির রাস্তায় বিদ্যুতের দ্বারা চার্জ হওয়া এই সরকারি ডিটিসি বাস ছুটে চলেছে।
বৈদ্যুতিক সরকারি বাস
দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন অর্থাৎ DTC গতকাল রাজধানীর রাস্তায় প্রথম বৈদ্যুতিক বাস চালু করেছে। রাজধানীতে বিদ্যুতের চার্জে চলা এটাই প্রথম সরকারি বাস। এই ইলেকট্রিক বাস চালু হওয়ার সাথে সাথে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে খুব শীঘ্রই ডিটিসির বহরে ৩০০টি ইলেকট্রিক বাস যুক্ত হবে। বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রচার করার সময়, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে নিজের গাড়িকে বৈদ্যুতিক গাড়িতে বদলে দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রত্যেকের নিজের অবদান রাখা উচিত।
বাড়িতে চার্জিং স্টেশন ইনস্টল করা যেতে পারে
দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রচারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনেক প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। এই পর্বে, ভারত সরকার নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে এবং ঘোষণা করেছে যে বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশন তৈরির জন্য কোনও অনুমতি বা লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ যে কোনো ব্যক্তি তার নিজের বাড়িতে নিজেই বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে পারবেন। PCS অর্থাৎ পাবলিক চার্জিং স্টেশন চালু করতে কোনো ধরনের লাইসেন্স নিতে হবে না।
ব্যয় বহুল হওয়ায় তৈরি হচ্ছে দূরত্ব
ইলেকট্রিক কার, ইলেকট্রিক বাইক এবং ইলেকট্রিক স্কুটার ব্যবহারে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এগুলোর খরচ। সাধারণ মানুষ একদিকে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যস্ফীতিতে অস্বস্তিতে আছে, এই অবস্থায় লক্ষাধিক টাকা যোগাড় করে বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে পারছেন না। তবে সরকারের প্রচেষ্টা এবং বাজারের পরিবর্তিত অবস্থার নিরিখে একটি বড় বার্তা দেখা দিচ্ছে, আর সেটা হল কয়েক বছরের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেতে পারে ।
আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন