Google কিছু দিন আগে অফিসিয়ালি তাদের লেটেস্ট অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম Android 11 লঞ্চ করেছে। ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বে এই নতুন অপারেটিং সিস্টেম সেলআউট করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন অ্যান্ড্রয়েড 11 এ আপগ্রেড করা হবে। অ্যান্ড্রয়েড 11 এর স্টেবল ভার্সন লঞ্চের কয়েক দিনের মধ্যেই গুগল সারপ্রাইজ দিয়ে আজ Android 11 Go edition টেক মার্কেটে লঞ্চের কথা ঘোষণা করল।
আরও পড়ুন: 5,000mAh ব্যাটারী ও 8GB RAM এর সঙ্গে লঞ্চ হল OPPO A32
যেসব গ্ৰাহকরা হাইএন্ড ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন কিনতে পারবেন না বা যারা লো বাজেট স্মার্টফোন কিনেই খুশি থাকতে চান তাদের জন্য Android 11 Go edition খুব সুন্দর একটি উপহার হতে চলেছে। Android 11 Go edition এর মধ্য দিয়ে ভারতীয় ইউজাররা বিশেষ ভাবে উপকৃত হবেন যারা সস্তা স্মার্টফোনেও নতুন অপারেটিং সিস্টেমের সাহায্যে হাই কোয়ালিটি ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এবং ফাস্ট পারফরম্যান্স পাবেন। যেসব ফোন 2 জিবি বা তার কম র্যামে কাজ করে শুধুমাত্র সেগুলিই Android 11 Go edition এর আপডেট পাবে।
Google তাদের অ্যান্ড্রয়েড 11 এর ‘গো এডিশন’ সম্পর্কে জানিয়েছে এই নতুন ওএসটি বিশেষভাবে কম র্যামে চলা স্মার্টফোনের জন্য পেশ করা হয়েছে। গুগলের কথা অনুযায়ী Android 11 Go edition এর সাহায্যে প্রায় 100 মিলিয়ন এন্ট্রি লেভেল স্মার্টফোন স্পীড, রিলায়বিলিটি এবং সিকিউরিটির দিক থেকে আগের চেয়ে বেশি অ্যাডভান্স ও উন্নত হয়ে উঠবে। গুগল জানিয়েছে Android 11 Go edition মোবাইল ফোনকে তার পুরোনো এডিশনের তুলনায় 20 শতাংশ বেশি ফাস্ট করে তুলবে।
আরও পড়ুন: এখন আরও সস্তায় পাওয়া যাবে Samsung Galaxy A51 এবং Galaxy A71, জেনে নিন ফোনদুটির নতুন দাম
কেমন হবে নতুন ফিচার?
জানা গেছে Android 11 Go edition এর কিছু ফিচার নতুন অ্যান্ড্রয়েড 11 থেকে নেওয়া হয়েছে। Android 11 Go edition এও conversation ফিচার দেওয়া হয়েছে যার সাহায্যে ইউজার নিজে থেকে ঠিক করতে পারবেন ম্যাসেজিং অ্যাপে কার সাথে কথা বলবেন এবং কার ম্যাসেজ ওপেন না করে সেটি নোটিফিকেশনেই রেখে দেবেন। এর মধ্যে রিসিভ করা ম্যাসেজের মধ্যে থেকে নিজের বাছাই করা মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। একইভাবে Bubbles ফিচারের সাহায্যে ফ্লোটিং বাবলের মাধ্যমে ম্যাসেজ অ্যাকসেস করতে পারবেন।
এছাড়া গুগল জানিয়েছে সিকিউরিটি ও প্রাইভেসির দিক থেকেও Android 11 Go edition এর ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হয়নি। এই এডিশনেও One-time permission এবং Permissions auto-reset এর মতো ফিচার দেখা যেতে পারে। এইসব ফিচারের সাহায্যে ইউজার নিজে ঠিক করতে পারে কোন অ্যাপ কখন ফোনের কোন ফিচার অ্যাকসেস করবে। অর্থাৎ কোনো অ্যাপ শুধুমাত্র তখনই ফোনের ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, কন্ট্যাক্ট, লোকেশন ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবে যখন ইউজার চাইবেন।
আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন