জাপান তৈরি করলো ওয়ার্ল্ড রেকর্ড, তৈরি করলো 319 TB প্রতি সেকেন্ডের ইন্টারনেট স্পীড, রকেটের দ্রুততায় পাওয়া যাবে Internet

দুনিয়ার বেশিরভাগ দেশে এখনো ইন্টারনেটের স্পীড নিয়ে লোকেরা চিন্তিত। আবার অন‍্যদিকে জাপানে ইঞ্জিনিয়ার‌রা চুপচাপ এমন একটি টেকনিক তৈরি করেছে যা আজকের তুলনায় ইন্টারনেটের স্পীড ডবল করতে পারবে। আসলে জাপানের ন‍্যাশনাল ইন্স্টিটিউট অফ ইন্ফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (NIICT) এর ল‍্যাবে হ‌ওয়া টেস্টিঙের সময় ইন্টারনেটের স্পীড 319 টেরাবাইট্স (TB) প্রতি সেকেন্ড পৌঁছে গিয়েছিল। আবার স্পীড দুনিয়া (Fastest Internet in the World) এ সবার আগে জাপানেই দেখা গেছে। মনে করিয়ে দিই যে ইউকে আর জাপানের সহযোগে পাওয়া আগের রেকর্ড 178 টেরাবাইট্স প্রতি সেকেন্ড ছিলো।

রকেটের থেকেও দ্রুত হবে ইন্টারনেটের স্পীড

নিউজ রিপোর্ট অনুযায়ী জাপানের ন‍্যাশনাল ইন্স্টিটিউট অফ ইন্ফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (NIICT) ল‍্যাবে এই টেস্টিঙের সময় দেখা স্পীডের সাহায্যে যেকোনো বড়ো ফাইল খুবই দ্রুত ডাউনলোড করা যাবে। খবর অনুযায়ী স্পীড পাওয়ার জন্য বিশেষ ধাতু দিয়ে তৈরি অ্যামপ্লিফায়ার আর আলাদা আলাদা ওয়েবলেন্থ এর জন্য 552 চ‍্যানেল কম্ব লেজারের ব‍্যবহার করা হয়েছিল।

এখন আরো দ্রুত হবে ইন্টারনেট স্পীড

এই টেস্টিং টিম বিনা কোনো পারফরম্যান্স ড্রপে 3000 কিলোমিটারের দূরত্ব পর্যন্ত ডেটা সফলতার সাথে নিয়ে যেতে আর প্রসারিত করতে সফল হয়েছে। মজার কথা হলো যে টিম এখনো বিশ্বাস করে যে এখনো আরো স্পীড আবিষ্কার করা যেতে পারে।

দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট স্পীড

এই স্পীড সারা দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি প্রমাণিত হয়েছে। এই স্পীডের আন্দাজ এভাবে নেওয়া যেতে পারে যে এই স্পীডে এক সেকেন্ডে হাজার ফিল্ম ডাউনলোড করা যেতে পারে। এইটুকুই না জাপানের ল‍্যাব এই স্পীড পাওয়ার জন্য অপ্টিকাল ফাইবার কেবেলের ব‍্যবহার করেছে।

6G এর জন্য জাপানের প্রস্তুতি

6G Technology এর ক্ষেত্রে Japan বড়ো কদম উঠিয়ে Finland এর কোম্পানি Nokia এর সাথে হাত মিলিয়েছে। এই অংশিদারির সাথেই জাপান 6G Standards কে চিনের আগে পাওয়ার আশায় এগিয়ে চলেছে। আপনাকে বলে দিই যে 6g টেকনোলজিকে এতটাই শক্তিশালী বলা হচ্ছে যে এটিকে পাওয়ার জন্য বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্র গুলির মধ্যে এরকম তোড়জোড় শুরু হয়েছে যে এটি কোনো ইন্টারনেট টেকনিক না বরং নতুন হাতিয়ার তৈরি করা হচ্ছে। সত‍্যিই 6জি শুধু দ্রুত ইন্টারনেট পর্যন্ত সীমিত থাকবে না বরং ন‍্যাশনাল সিকিউরিটি আর স‍্যাটেলাইট কানেকশনের সাথেই Virtual reality (VR) এবং augmented reality (AR) এর মাধ্যম হ‌ওয়ার নতুন উদাহরণ পেশ করবে।

আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here