ক্রিপ্টোকারেন্সি কি? এতে কীভাবে বিনিয়োগ করা হয় এবং কীভাবে কিনতে হয়, দেখে নিন ডিটেইলস

Cryptocurrency যাকে সাধারণত Crypto বলা হয়। এগুলি হল ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল কারেন্সি, যেখানে সিকিওর লেনদেনের জন্য ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করা হয়। ক্রিপ্টোকারেন্সি কোনো কেন্দ্রীয় সংস্থা বা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ দ্বারা জারি করা হয় না। বরং, এটি একটি বিকেন্দ্রীভূত সিস্টেমের উপর বেস করে আছে, যেখানে প্রতিটি লেনদেনের একটি রেকর্ড রাখার পাশাপাশি নতুন ইউনিট জারি করা হয়। এই পোস্টে আপনাদের ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে ডিটেইলস জানানো হল।

Cryptocurrency কি?

ক্রিপ্টোকারেন্সি হল একটি ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম যেখানে ব্যাঙ্ক ট্রানজেকশন ভেরিফাই করে না। এটি একটি পিয়ার-টু-পিয়ার সিস্টেম যার মাধ্যমে ইউজাররা যে কোনো সময় যে কাউকে অর্থপ্রদান করতে পারে। এতে ইউজারদের ফিজিক্যাল রূপে কারেন্সি তাদের সঙ্গে রাখতে বা কারেন্সি বিনিময়ের প্রয়োজন হয় না। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে পেমেন্ট নির্দিষ্ট লেনদেনের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়, যেখানে পেমেন্ট একটি অনলাইন ডাটাবেসে এন্ট্রি করা হয়। যখনই কেউ ক্রিপ্টোকারেন্সি ফান্ড ট্রান্সফার করে তখন এই লেনদেনটি একটি পাবলিক ডেটায় রেকর্ড করা হয়। ক্রিপ্টোকারেন্সি ডিজিটাল ওয়ালেটে স্টোর করা হয়।

ক্রিপ্টোকারেন্সি এই নামটি ট্রানজেকশন ভেরিফাই করার সময় এনক্রিপশন ব্যবহারের কারণে পেয়েছে। মানে ওয়ালেটে ক্রিপ্টোকারেন্সি স্টোর করা থেকে শুরু করে লেনদেন পর্যন্ত অ্যাডভান্স লেভেল কোডিং ব্যবহার করা হয়েছে। এনক্রিপশনের মূল উদ্দেশ্য হল সিকিউরিটি এবং সেফটি প্রদান করা। Bitcoin (বিটকয়েন) হল সবচেয়ে বিখ্যাত এবং প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি যা 2009 সালে শুরু হয়েছিল।

কিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি কাজ করে?

ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি Blockchain, এতে, সমস্ত কারেন্সি হোল্ডারদের ট্রানজেকশন রেকর্ড আপডেট করা হয়। ক্রিপ্টোকারেন্সি ইউনিট প্রস্তুত করার প্রক্রিয়াকে মাইনিং বলা হয়। যেখানে কয়েন জেনারেট করার জন্য জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা হয়, যার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। ইউজাররা এজেন্টদের সাহায্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে পারেন। ক্রিপ্টোগ্রাফিক ওয়ালেট ব্যবহার করে এটি স্টোর এবং খরচ করা যায়।

আপনার কাছে যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি থাকে তাহলে ফিজিক্যালি আপনার কাছে কিছু থাকবে না। আপনার কাছে একটি Key থাকবে যার মাধ্যমে আপনি আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে অর্থ প্রদান করতে পারবেন। যদিও বিটকয়েন 2009 সাল থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে, আর্থিক বিষয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ব্লকচেইন টেকনোলজির ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে এর ব্যবহার আরও বাড়তে পারে। এই টেকনোলজিটি বন্ড, স্টক এবং অন্যান্য আর্থিক সম্পদের ট্রানজেকশনে ব্যবহার করা হয়।

ক্রিপ্টোকারেন্সির উদাহরণ

বিটকয়েন

বিটকয়েন 2009 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি প্রথম এবং সবচেয়ে বিখ্যাত ক্রিপ্টোকারেন্সি।

ইথেরিয়াম

বিটকয়েনের পরে সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি হল Ether (ETH) বা Ethereum, যা ব্লকচেইনের উপর বেস করে তৈরি।

Litecoin

Litecoin জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলির মধ্যে একটি। Litecoin তার ইনোভেশন, ফাস্ট পেমেন্ট এবং ট্রানজেকশন প্রসেসর জন্য পরিচিত।

Ripple

Ripple হল একটি Dডিস্ট্রিবিউটেড লেজার সিস্টেম যা 2012 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। Ripple শুধুমাত্র ক্রিপ্টোকারেন্সি নয়, বিভিন্ন ধরনের ট্রানজেকশন ট্র্যাক করতে ব্যবহৃত হয়। Ripple এর ডেভেলপার কোম্পানি বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে।

Non Bitcoin ক্রিপ্টোকারেন্সি সাধারণত হয়”altcoins” নামে পরিচিত।

কিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনবেন?

ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে আপনাকে কিছু স্টেপ অনুসরণ করতে হবে

স্টেপ 1: প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন

প্রথমত, আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি কোন প্ল্যাটফর্মটি বেছে নিতে চান। আপনি একটি ট্রাডিশনাল ব্রোকার বা একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জের মধ্যে একটি বেছে নিতে পারেন।

ট্র্যাডিশনাল ব্রোকার: আজকাল অনেক অনলাইন ব্রোকার ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা বা সেল করার অপশন দেয়। এই ব্রোকাররা ক্রিপ্টোকারেন্সির সাথে বন্ড, স্টক এবং অন্যান্য আর্থিক সম্পদের অপশনগুলিও অফার করে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ: ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনার জন্য এক্সচেঞ্জও একটি ভালো অপশন। এই এক্সচেঞ্জগুলি ক্রিপ্টোকারেন্সি, ওয়ালেট স্টোরেজ, সুদের অ্যাকাউন্টের অপশন অফার করে।

এই প্ল্যাটফর্মগুলি বেছে নেওয়ার আগে, আপনাকে দেখতে হবে যে তারা কতটা চার্জ করছে এবং আপনি সেগুলিতে কী কী ফিচার পাচ্ছেন৷

স্টেপ 2 : অ্যাকাউন্টে ফান্ড দিন

একবার আপনি প্ল্যাটফর্মটি বেছে নিলে, পরবর্তী স্টেপ হল আপনার অ্যাকাউন্টে ফান্ড দেওয়া, যাতে আপনি ট্রেডিং শুরু করতে পারেন। বেশিরভাগ ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ ইউজারদের ক্রিপ্টো ফিয়াট (সরকারি জারি করা) মুদ্রা যেমন মার্কিন ডলার, ব্রিটিশ পাউন্ড বা ইউরো ব্যবহার করে ক্রিপ্টো কেনার অনুমতি দেয়। ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ক্রিপ্টো কেনা ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হয় এবং কিছু এক্সচেঞ্জ ক্রেডিট কার্ড সাপোর্ট করে না। ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলি অত্যন্ত উদ্বায়ী, তাই তাদের লোনের মাধ্যমে কেনা উচিত নয়। কিছু প্ল্যাটফর্ম ট্রান্সফার এবং ওয়্যার ট্রান্সফার গ্রহণ করে।

স্টেপ 3: অর্ডার প্লেস করা

অ্যাকাউন্টে ফান্ড দেওয়ার পরে, আপনাকে ব্রোকার বা এক্সচেঞ্জের ওয়েব বা মোবাইল প্ল্যাটফর্মে ক্রিপ্টোকারেন্সির জন্য একটি অর্ডার দিতে হবে। এর সাথে, ইউজাররা ক্রিপ্টো কারেন্সির মতো ফিনটেক অ্যাপ যেমন PayPal, Cash App এবং Venmo এর মাধ্যমেও বিনিয়োগ করতে পারেন। এই App এর মাধ্যমে ইউজাররা ক্রিপ্টো কারেন্সি কিনতে বা সেল করতে পারবেন।

কিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি স্টোর করবেন?

একবার আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনে নিলে, আপনাকে এটিকে হ্যাকার বা চোরদের থেকে রক্ষা করে সিকিওর রাখতে হবে। সাধারণত ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি ক্রিপ্টো ওয়ালেটে স্টোর থাকে, যা হল ফিজিক্যাল ডিভাইস এবং অনলাইন স্টোর। এছাড়াও কিছু ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ ইউজারদের ওয়ালেট প্রদান করে। ক্রিপ্টোকারেন্সি সঞ্চয় করার জন্য দুই ধরনের ওয়ালেট ব্যবহার করা হয় – হট ওয়ালেট এবং কোল্ড ওয়ালেট।

হট ওয়ালেট স্টোরেজ: অনলাইন সফ্টওয়্যারটি হট ওয়ালেটে ক্রিপ্টোকারেন্সি স্টোর করতে ব্যবহৃত হয়। এর জন্য ইউজারদের কোনো ধরনের চার্জ দিতে হয় না।

কোল্ড ওয়ালেট স্টোরেজ: এতে ক্রিপ্টোকারেন্সি স্টোর করার জন্য অফলাইন ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহৃত হয়। ইউজারদের এই ওয়ালেটের জন্য পেমেন্ট করতে হয়।

আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here