বর্তমানে শাওমি ভারতের নাম্বার ওয়ান স্মার্টফোন ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। তবে এটি কোনো নতুন ঘটনা নয়, কোম্পানির মুকুটে বিগত দীর্ঘ সময় ধরেই এই পালকটি শোভা পাচ্ছে। ভারতে শাওমির ফ্যান ফলোয়িঙও নেহাত কম নয় এবং এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ সাধারণত লো বাজেট স্মার্টফোন ইউজার। তবে বিগত কিছু সময় ধরে এই চাইনিজ স্মার্টফোন কোম্পানি ভারতে সমস্যার সম্মুখীন হয়ে চলেছে। কোম্পানির ব্যাবসায় ক্ষতি হচ্ছে এমনটা নয়, আসলে ED অর্থাৎ Enforcement Directorate কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা 5551.27 কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে।
ED on Xiaomi India
Enforcement Directorate চাইনিজ স্মার্টফোন কোম্পানি শাওমি টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে 5551.27 কোটি টাকা সীজ করে নিয়েছে। ইডি Foreign Exchange Management Act, 1999 প্রয়োগ করে এত বড় পদক্ষেপ নিতে পেরেছে। ইডি বছরের শুরু থেকেই কোম্পানির বিভিন্ন কার্যকলাপের ওপর নজর রেখে চলেছে এবং ফেব্রুয়ারিতে কোম্পানির বিভিন্ন অবৈধ লেনদেন নিয়ে তদন্ত শুরু করে। ইডির দ্বারা বাজেয়াপ্ত করা প্রায় 5551 কোটি টাকা কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাখা ছিল যা এখন সরকারের হেফাজতে আছে।
ইডি জানিয়েছে শাওমি প্রায় 5551.27 কোটি টাকার বিদেশি অর্থ তিনটি আলাদা আলাদা সংস্থাকে পাঠিয়েছে যা ভারতের বাইরে থেকে অপারেট করা হচ্ছে। আরও জানা গেছে এই টাকা রয়্যালটির নামে ট্রান্সফার করা হয়েছে এবং করা হয়েছে শাওমির চাইনিজ প্যারেন্ট কোম্পানির কথা মেনে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হল শাওমি যে দুটি আমেরিকান কোম্পানিকে টাকা পাঠিয়েছে সেগুলিও চীনা গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করতো।
শাওমির জোচ্চুরি
শাওমি আদৌ কোনো ভুল কাজ করেছে কি না আমরা এই বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে পারি না। তবে ইডির বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এই চাইনিজ কোম্পানি যে তিনটি বিদেশি সংস্থাকে টাকা পাঠিয়েছে শাওমি তাদের থেকে কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস গ্ৰহণ করেনি। এখানেই প্রশ্ন উঠছে কোনো কারণ ছাড়া অন্য কোনো কোম্পানিকে এত বড়ো অঙ্কের টাকা পাঠানোর কারণ কি হতে পারে। প্রসঙ্গত জানা গেছে শাওমি বিদেশে টাকা পাঠানোর জন্য ব্যাঙ্কে ভুল তথ্য জমা করেছে।
আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন