‘হেরা-ফেরি’ এর মোট 21 দিনে পয়সা ডবল করতে গিয়ে আবার টাকা খোয়ালেন এক ব্যাক্তি। লক্ষ্মী চীট ফান্ডের এই স্ক্যাম এখন বাস্তব জীবনে ঘটে চলেছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ঠগ-জোচ্চোররাও এখন যথেষ্ট অ্যাডভান্স হয়ে উঠেছে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে তাঁরা শিক্ষিত মানুষদেরও তাদের প্রতারণার শিকার করে চলেছেন। এবার তামিলনাড়ুর একটি ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের নজর কাড়ছে, যেখানে YouTubeভিডিওর মাধ্যমে এক ডাক্তার
YouTube এর মাধ্যমে ফ্রড
তামিলনাড়ুর স্রক্সারি মেদিকেল কলেজের প্রফেসরের সঙ্গে অনলাইন ফ্রড হয়েছে। এই ডাক্তারকে stock market tips দিয়ে টাকা কামানোর লভ দেখানো হয়। এর ফলে তিনি সহজেই স্ক্যামারদের খপ্পরে পড়ে যান এবং মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে 76 লক্ষেরও বেশি টাকা হারিয়ে বসেন। রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি ইউটিউবে একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্ক্যামারদের খপ্পরে পড়েন।
বিজ্ঞাপনে স্টক মার্কেটে টাকা লাগিয়ে লাভ করার কথা বলা হয়। এই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে এই ডাক্তার একটি WhatsApp group এ যোগ হয়ে যান। এই গ্রুপের অনেকে নিজেদের অভিজ্ঞ ট্রেডার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন এবং স্টক মার্কেট থেকে টাকা কামানোর পদ্ধতি শেয়ার করছিলেন। প্রফেসর নিজেও এইসব কথা শুনে লোভে পড়ে টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন।
এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন তাঁর নাম ‘দিবাকর সিংহ’ বলেছিলেন এবং তিনি গ্রুপ মেম্বারদের শেয়ার কেনা এবং বেচার টিপস দিচ্ছিলেন। গ্রুপের সদস্যদের কথায় প্রভাবিত হয়ে ডাক্তার একটি অনলাইন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মে তাঁর একটি অ্যাকাউন্ট ওপেন করেন। তাকে আরও বোঝানো হয় মেম্বারদের বলা স্টকে টাকা বিনিয়োগ করলে তিনি বেশি লাভ করবেন। তাঁরা ডাক্তারকে বিভিন্ন বিখ্যাত ভারতীয় স্টকের পাশাপাশি কিছুউ আমেরিকান কোম্পানিতেও বিনিয়োগ করতে বলেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী দ্রুত এবং বেশি পরিমাণে টাকা কামানোর লোভে ডাক্তার তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রায় 76.5 লক্ষ টাকা এদের দিয়ে দেন। কিছু দিন পর তিনি তাঁর টাকা তোলার চেষ্টা করলে তাকে আরও 50 লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়। “কোয়ালিফাইড ইন্সটিটিউশনাল বায়ার্স অ্যাসোসিয়েশন” নামক সংস্থাকে এই টাকা দিতে বলা হয়। এত দিনে ডাক্তারবাবু বুঝে গেছিলেন তিনি অনলাইন ফ্রডের শিকার হয়েছেন।
শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত
ফ্রডের শিকার হওয়ার পর ডাক্তারবাবু পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কেস করেন। বর্তমানে তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলব, লোভনীয় অনলাইন বিজ্ঞাপন থেকে সাবধান থাকা প্রয়োজন এবং কোনো অচেনা ব্যাক্তির সঙ্গে টাকা লেনদেন করার আগে তাঁর সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কোনো নতুন ও অজানা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না বা অচেনা কারোর সঙ্গে ব্যাক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না।