দুনিয়ার সবচেয়ে বড়োলোক এলন মাস্ক নিজের ইলেকট্রিক গাড়ি, বিটকয়েন আর টুইটের কারনে চর্চায় থাকে। কিন্তু এই বার তার নাম চর্চায় থাকার কিছু অন্যই কারন। আপাতত একটি স্ক্যামে এলন মাস্কের নাম আছে। কিন্তু স্ক্যাম করা শুধু এলন মাস্কই না বরং আরো স্ক্যামার্সরা আছে যারা লোকেদের কষ্টের টাকা ঠকিয়ে নেওয়ার নতুন পদ্ধতি ভাবতে থাকে। আপাতত একটি নতুন মামলা সামনে এসেছে যাতে দেখা গেছে এইবারের বিশ্বাসঘাতকতার স্বীকার হল একজন স্কুল শিক্ষক। অনলাইন স্ক্যামার আরবপতি ব্যাবসায়ী এলন মাস্কের নাম ব্যবহার করে শিক্ষকের থেকে £ 9,000 (প্রায় 9,29,973 টাকা) ঠকিয়ে নিয়েছে। যার পরে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হওয়া শিক্ষক নিজেই বাকিদের সতর্ক করছে যাতে তারা এরকম কিছুতে টাকা না দেয়। আসুন আগে জেনে নিই পুরো ঘটনা।
সম্পূর্ণ ঘটনা কি
জুলি বুশনেল নামের এক মহিলা শিক্ষক আরোপ লাগিয়ে বলেছে যে এলন মাস্কের কোম্পানির নিবেশ যোজনার নামে হ্যাকাররা অনলাইন তার থেকে 9000 পাউন্ড নিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাকে এই টাকা দ্বিগুণ করে দেয় ভরসা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে সে জানতে পেরেছিল যে তাকে ঠকানো হয়েছিল।
জুলি বলেছেন যে এলন মাস্ক বিটকয়েনকে সর্বদাই সাপোর্ট করে। টেসলা আর স্পেসএক্স এর সিইও বারবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে বিট কয়েনের সমর্থন করেছে আর একবার এও বলেছে যে ক্রিপ্টো ভবিষ্যতে দুনিয়ার মুদ্রা হতে পারে। এইসব শোনার পরে বিশ্বাসঘাতকদের হাতের মুঠোয় চলে আসে এবং নিজেদের কষ্টের টাকা হারিয়ে ফেলে। সে এখন অন্যান্যদের সতর্ক করছে বিশ্বাস ঘাতকদের হাত থেকে বাচার জন্য।
ওয়েবসাইটে এসেছিল বিজ্ঞাপন
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী বুশনেল বলেছিল যে তিনি একটি ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনে পড়েছিল যে এলন মাস্ক এর বিটকয়েনে জমানো টাকা দ্বিগুন করে ফিরিয়ে দেবে। এই জন্য মহিলা বিজ্ঞাপন দেওয়া কোম্পানিকে 9000 পাউন্ড দিয়েছে। এরপরে যখন মহিলা সেই টাকা ফেরত পায় না তখন সে বুঝতে পারে যে তার সাথে প্রতারনা হয়েছে।
পুলিশে জানায় পুরো ঘটনা
এরপরে প্রতারিত মহিলা যখন পুলিশের কাছে যার প্রতারনা করা এজেন্সি সম্পর্কে অভিযোগ করে। অথচ এখন পুলিশ অনলাইন প্রতারকের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। অনেক সময়ই অনলাইন প্রতারনার শিকার হয় যারা তারা এরকমই বিজ্ঞাপনের চক্করে আসে। এইজন্য সময়ে সময়ে অনলাইন স্ক্যামের থেকে বাচার জন্য সতর্ক করা হয়।
নতুন বাড়ি কেনার জন্য টাকা জমিয়েছিল
বুশনেল বলেছিল যে সে এই ঘটনার ফলে অনেকটাই চিন্তিত। সে বলছে যে যদি সে সময়ের আগে গিয়ে এই প্রতারণার থেকে বাঁচতে পারত। সে এও বলেছে যে যদি তার সাথে এই প্রতারণা না হত তাহলে সে নিজের জন্য একটি নতুন বাড়ি কিনতে পারতো। শিক্ষিকা আসলে এই টাকা নিজের নতুন বাড়ি কেনার জন্য সঞ্চয় করছিল।
আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন