App Innovation Challenge: শুরু হল Made in India অ্যাপ তৈরির মাস্টার প্ল‍্যান, জেনে নিন পুরো ঘটনা

কয়েক দিন আগে 59টি চীনা অ্যাপ ব‍্যানড করার পর এবার ভারত সরকার দেশের তরুণদের জন্য নতুন এবং অনবদ্য এক অ্যাপ ইনোভেশন চ‍্যালেঞ্জ শুরু করেছে। এই চ‍্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে সরকার দেশে ‘আত্মনির্ভর অ্যাপ ইকোসিস্টেম’ গড়ে তুলতে চাইছে। এই ঘোষণা স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করেছেন। তিনি টুইট করে এই কথা জানিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদী টুইটে লিখেছেন, “বর্তমানে মেড ইন ইন্ডিয়া অ্যাপ তৈরির জন্য প্রযুক্তিগত এবং স্টার্টআপ দলগুলি যথেষ্ট উৎসাহী. তাই @GoI_MeitY এবং @AIMtoInnovate যৌথভাবে ইনোভেশন চ‍্যালেঞ্জ শুরু করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আপনার কাছে এমন কোনো প্রোডাক্ট থাকলে বা যদি আপনি এই ধরনের কিছু করার ক্ষমতা রাখেন তবে টেক কমিউনিটির সঙ্গে জুড়ে যান।” নরেন্দ্র মোদী লিঙ্কড‌ইনেও তাঁর বক্তব্য জানিয়েছেন, যেখানে দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষ চাকরির সন্ধান করতে থাকে।

2015 খ্রিস্টাব্দে লঞ্চ হয় ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রোগ্রাম

জেনে সত্যিই অবাক হতে হয় যে চ‍্যালেঞ্জের কথা প্রধানমন্ত্রী গত সপ্তাহের শনিবার ঘোষণা করেছেন তাঁর ভিত স্থাপন করা হয়েছে আজ থেকে পাঁচ বছর আগে 2015 খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে। ভারত সরকার 2015 খ্রিস্টাব্দে ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রোগ্রাম লঞ্চ করেছিল। প্রধানমন্ত্রী তখন দাবি করেছিলেন ভারতে কেন গুগলের মতো কোম্পানি কেন গড়ে উঠতে পারে না? তিনি এমন এক ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা ভেবেছিলেন যেখানে টেকনোলজির সাহায্যে সরকার দুর্নীতিমুক্ত হবে, দেশের রুরাল ইকোনমিতে ই-হেল্থকেয়ারের ভূমিকা থাকবে। এছাড়াও ভারত নিজেকে এমনভাবে গড়ে তুলবে যে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি ভারতকে দেখে অনুপ্রাণিত হবে।

18 জুলাই থেকে করা যাবে এন্ট্রি

মেইটি মাইগভ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এন্ট্রি নেওয়ার শেষ দিন 18 জুলাই নির্ধারণ করেছে। বিশেষজ্ঞের টীম এন্ট্রিগুলি পরীক্ষা করবে এবং সবচেয়ে ভালো অ্যাপকে পুরস্কৃত করা হবে। যদি আপনিওকোনো অ্যাপ বানিয়ে থাকেন বা অ্যাপের আইডিয়া আছে তবে এই লিঙ্কে ক্লিক করে চ‍্যালেঞ্জ সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জেনে নিন।

দুটি ট্র‍্যাকে হবে চ‍্যালেঞ্জ

বর্তমানে উপস্থিত অ্যাপের প্রচার এবং নতুন অ্যাপ তৈরি এই দুটি ট্র‍্যাকে চ‍্যালেঞ্জ চলবে। প্রথম ট্র‍্যাক ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এই ট্র‍্যাক অনুযায়ী আগে থেকে ব‍্যবহৃত বিভিন্ন অসাধারণ মেড ইন ইন্ডিয়া অ্যাপগুলিকে বাছাই করা হবে যেগুলি তাদের ক‍্যাটাগরিতে আন্তর্জাতিক স্তরে স্থান করে নিতে সক্ষম। আশা করা হচ্ছে এক মাসের মধ্যেই এই কাজ শেষ হয়ে যাবে। অন‍্যদিকে দ্বিতীয় ট্র‍্যাকে নতুন অ্যাপ ও প্ল‍্যাটফর্ম তৈরির জন্য আইডিয়েশনের স্তর থেকে বাজারে পাঠানো পর্যন্ত সুবিধাগুলির ব‍্যবস্থা করা হবে।

কোন ক‍্যাটাগরিতে থাকবে অ্যাপ?

এই চ‍্যালেঞ্জে আটটি ক‍্যাটাগরিতে অ্যাপ তৈরি করা হবে। যেমন: সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং, ই-লার্নিং, বিনোদন, স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা, বিজনেসের, অ্যাগ্ৰিটেক, ফিনটেক, খবর ও গেম।

আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

    

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here