বিগত কয়েক বছর ধরে অনলাইন কেনাকাটা বেড়েই চলেছে। আজকের দিনে আমরা বাড়ি বসেই রেশন থেকে শুরু করে জামাকাপড় সব কিছুই অর্ডার করে বাড়ি আনাতে পারি। অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বেড়ে ওঠা একটি শপিং সাইট সম্পর্কে এমন খবর পাওয়া গেছে যা শুনে অবাক হতে হয়। একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে আমাজনের মতো শপিং সাইটে নকল রিভিউয়ের মাধ্যমে নিম্নমানের প্রোডাক্ট প্রথম সারিতে নিয়ে আসা হয়। প্রায়ই অনলাইন শপিং সাইটে কোনো প্রোডাক্টের কোয়ালিটি সম্পর্কে জানার জন্য সাধারণ মানুষ সেই প্রোডাক্টের রিভিউ দেখে, কিন্তু ঘটনার কথা সামনে আসায় এখন অনলাইনে কোনো প্রোডাক্ট অর্ডার করার আগে মনে ভয় কাজ করবে সেই প্রোডাক্টের কোয়ালিটি নিয়ে। এমনকি আমাজনের একটি ফেক রিভিউ স্ক্যাম সম্পর্কে বলা হচ্ছে এখনও পর্যন্ত প্রায় 2 লক্ষেরও বেশি মানুষ এই স্ক্যামের শিকার হয়েছেন।
আমাজন রিভিউ স্ক্যাম
চীনের একটি সার্ভারের মাধ্যমে সিকিউরিটি রিসার্চার সেফটি ডিটেকটিভ্স এই কথা জানিয়েছেন। জানা গেছে, এই স্ক্যামের প্রভাব পড়েছে আমাজনের রিভিউ সেকশনে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত 2,00,000 লক্ষাধিক মানুষকে এর জন্য ঠকতে হয়েছে।
কি এই আমাজন ফেক রিভিউ স্ক্যাম?
এই স্ক্যামে যে কোনো প্রোডাক্টের ভিজিবিলিটি বাড়ানোর জন্য ফেক রিভিউ ও স্টার দেওয়া হয়। এর ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই ইউজাররা এইসব প্রোডাক্টের প্রতি আকর্ষিত হন এবং এইসব জিনিসের সেল বেড়ে যায়। এমনকি ফেক রিভিউয়ের ফলে প্রোডাক্টের রেটিং বেড়ে যায় এবং সেগুলি টপ সাজেশনে আসতে শুরু করে।
কারা দেয় আমাজনে রিভিউ?
ফেক রিভিউয়ের জন্য আমাজন ভেন্ডার রিভিয়ারদের প্রোডাক্টের একটি লিস্ট পাঠায়। এরপর সেই রিভিয়াররা এই প্রোডাক্টগুলিকে 5 স্টার রেটিং দেয়। এর ফলে প্রোডাক্টগুলি সাজেশন লিস্টে টপে চলে আসে।
এই স্ক্যামে কোনো পাসওয়ার্ড প্রোটেকশন ছাড়া 1.3 কোটি রেকর্ড পাওয়া গেছে যেখানে আমাজন রিভিউ স্ক্যামে অংশগ্ৰহণকারী ভেন্ডারদের ইমেইল অ্যাড্রেস থেকে শুরু করে হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম নাম্বার পর্যন্ত আছে। এছাড়া পেপল অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস ও ইউজার নেম সহ প্রায় 75,000 আমাজন অ্যাকাউন্টের লিঙ্কও পাওয়া গেছে। এই স্ক্যামের শিকার হওয়া মানুষদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও পর্যন্ত এখনও পর্যন্ত এই ধরনের কোনো ঘটনার কথা জানা যায়নি।
কি করে চিনবেন আমাজনের ফেক রিভিউ?
আমাজনের পাশাপাশি যে কোনো শপিং সাইটে আসল ও নকল প্রোডাক্ট রিভিউ চেনা অতটাও সহজ নয়। কারণ এই ধরনের রিভিয়াররা দুই ধরনের প্রোডাক্ট রিভিউ দেয়। ফিল্টার ব্যবহার করে এর হাত থেকে কিছুটা বাঁচার সম্ভাবনা থাকলেও পুরোপুরি এর হাত থেকে বাঁচার কোনো সুযোগ নেই।
আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন