আজকাল মনে করা হচ্ছে ভারতে ‘মেড ইন চায়না’ প্রোডাক্ট কম বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ কোনো চায়না প্রোডাক্ট কেনার আগে শুরুতেই ভেবে নেয়, “আর কতদিনই বা চলবে’। তবে একটা কথা শুনতে খারাপ লাগলেও চরম সত্যি যে আমরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যে সব জিনিস ব্যবহার করি তার মধ্যে অধিকাংশই চীনে তৈরি। ভারত তো চীনের জন্য বড় বাজার ছিলই এবার মনে হয় আমেরিকার সম্মানও চীনের দখলে যেতে বসেছে। বিভিন্ন প্রোডাক্টের নকল কপি বানাতে বানাতে চীনের মানুষের সাহস এতই বেড়ে গেছে যে বিশ্বের অন্যতম বড় টেক কোম্পানি Apple এরও নকল প্রোডাক্ট তৈরি করে ফেলেছে। সবচেয়ে বড় কথা এই প্রোডাক্ট তৈরি করে চীন অন্য কোনো দেশ নয় বরং আমেরিকার মার্কেটে বেচার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, যা কাস্টম বিভাগের হাতে ধরা পড়ে যায়।
ইউএস থেকেই নকল অ্যাপেল প্রোডাক্ট সংক্রান্ত এই খবর পাওয়া গেছে। আমেরিকার সিনসিনাটি এলাকায় সেখানকার কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন বিভাগ (CBP) চীন থেকে আসা তিনটি বড় শিপমেন্ট পাকড়াও করেছে। এই তিনটি শিপমেন্টে Fake Apple AirPods ভরা ছিল এবং এর আনুমানিক দাম 7.16 মিলিয়ন ইউএস ডলারের কাছাকাছি বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় টাকায় এই দাম 52,45,31,576 টাকার সমান অর্থাৎ 52 কোটি টাকারও বেশি।
চীন থেকে এসেছে নকল অ্যাপেল প্রোডাক্ট
ডিপার্টমেন্টের জানানো অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, ইউএস সিবিপির পক্ষ থেকে মোট তিনটি শিপমেন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চীন থেকে আসা এই তিনটি শিপমেন্টে ছিল অ্যাপেল এয়ারপডস। আরও জানানো হয়েছে বাজেয়াপ্ত তিনটি শিপমেন্টে 12,000 ইউনিট করে ভরা ছিল। অর্থাৎ মোট 36,000 ইউনিট নকল এয়ারপডস ধরা পড়েছে। চীনে তৈরি এবং সেখান থেকে পাঠানো এই বিপুল পরিমাণ নকল প্রোডাক্ট গত 11 মে এবং 13 মে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
Apple এর নামে চুরি কোটি কোটি
আমেরিকার সিবিপি দ্বারা বাজেয়াপ্ত প্রতিটি শিপমেন্টের প্রত্যেক প্যাকেজের দাম লেখা ছিল 5,280 ইউএস ডলার। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাজেয়াপ্ত 36,000 নকল এয়ারপডস যদি মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ত এবং আসল দামে বিক্রি হত তবে এগুলির মিলিত দাম প্রায় 7.16 মিলিয়ন ইউএস ডলারের কাছাকাছি। এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে অ্যাপেল প্রায় 52 কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হত।
আমেরিকার সিবিপির পক্ষ থেকে জানা গেছে বাজেয়াপ্ত প্রোডাক্ট ট্রেডমার্ক ও কপিরাইট নিয়ম ভেঙেছে। জানিয়ে রাখি বিশ্ববিখ্যাত টেক কোম্পানি অ্যাপেল মার্কেটে এই ধরনের নকল অ্যাপেল প্রোডাক্ট ছড়িয়ে পড়া আটকানোর জন্য অ্যান্টি কাউন্টারফিট টীম তৈরি করেছে অর্থাৎ এমন একটি বিভাগ যা শুধুমাত্র এই ধরনের ঘটনার ওপরই নজর রাখবে। রিপোর্ট অনুযায়ী 2020 সালে অ্যাপেলের টীম এই ধরনের এক মিলিয়ন ফেক অ্যাপেল প্রোডাক্ট বাজেয়াপ্ত করেছিল।
আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন