5G নেটওয়ার্ক টেকনিক আর যেখানে ইন্ডিয়াতে শুরু হতে যাচ্ছিল আবার অন্যদিকে এই টেকনিকে অনেক লোক রাজি ছিল না সেটাও নজরে এসেছে। লোকেদের মধ্যে কানাঘুষো ছড়ানো হচ্ছে যে 5জি টেকনিকের কারনে হাওয়া দূষিত হচ্ছে যা খুবই প্রানঘাতি। 5G Trial এর ঘোষণা হওয়ার পরে হরিয়ানার জিন্দ এলাকার থেকে এরকমই একটি বড়ো খবর সামনে এসেছে দুই সপ্তাহে 15 জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গ্রামে হওয়া এই মৃত্যুর কারণ মোবাইল টাওয়ার আর এর রেডিয়েশন মানা হচ্ছে যার ফলে স্থানীয় লোকরা Reliance jio, Airtel আর Idea এর Mobile Tower বন্ধ করে দিয়েছে।
দৈনিক জাগরন দ্বারা প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী এই ঘটনাটি হরিয়ানার জিন্দ এলাকার ঘটনা। রিপোর্ট অনুযায়ী এখানে গত দুই-তিন সপ্তাহে 15 জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ লোকের মৃত্যুর কারণ হার্ট এটাক বলা হয়েছে। এখানে গ্রামবাসীদের অনুযায়ী ওই এলাকায় থাকা মোবাইল টাওয়ার থেকে খুবই ক্ষতিকারক রেডিয়েশন বেড়োচ্ছিল আর এই রেডিয়েশনের কারনে প্রতিনিয়ত লোকেরা মারা যাচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার সাথেই লোকেরা রেগে গিয়ে গ্রামবাসীরা মিলে ওই এলাকার সব মোবাইল টাওয়ার বন্ধ করে দিয়েছে।
মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন হল মৃত্যুর কারণ
রিপোর্ট অনুযায়ী গ্রামবাসী সবাই টেলিকম কোম্পানি সতর্ক করেছিল যে যদি মোবাইল টাওয়ার বন্ধ না করা হয় তাহলে তাদের বড়ো ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। রাগে গ্রামবাসীরা টাওয়ার না ভেঙে দেয় সেই জন্য সেই ভয়ে মোবাইল কোম্পানি সপ্তাহের জন্য টাওয়ার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবার গ্রামবাসীদের দাবি যে আগে যেখানে কারও না কারও মৃত্যু হচ্ছিল, আবার যেদিন থেকে মোবাইল টাওয়ার বন্ধ হয়েছে তখন থেকে সেই গ্রামের কারও প্রান যায়নি।
হরিয়ানার থেকে আসা এই মৃত্যুর আসল কারন এখনো পরিস্কার না কিন্তু প্রশাসন এটি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে টাওয়ারের রেডিয়েশনের কারনে কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। এইসবের পরেও গ্রামবাসীদের দাবি যে যেদিন থেকে মোবাইল টাওয়ার বন্ধ করা হয়েছে সেদিন থেকে গ্রামে কোনো মৃত্যু হয়নি। আপাতত গ্রামবাসীদের এই দাবি একটি কাকতলীয় ঘটনা মানা হচ্ছে।
5G ট্রায়ালের গুজব
বলা হচ্ছে যে এই এলাকায় গুজব ছড়াচ্ছে যে সেই গ্রামে 5জী এর ট্রায়াল করা হচ্ছে যার তথ্য আম জনতার থেকে লোকানো হচ্ছে। এই গুজবের পরে লোকেরা গ্রামবাসীদের মৃত্যুর কারন 5জী ট্রায়ালের সাথে জোড়া শুরু করেছে যার ফলে ঘটনাটি এতদূর পৌছেছে যে লোকেরা সব মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার বন্ধ করে দিয়েছে।
এই গুজবে লাগাম লাগানোর জন্য স্থানীয় ডিএসপি এর পক্ষ থেকে বয়ান জারি করা হয়েছিল যে এখনো পর্যন্ত 5জী ট্রায়াল শুরু হয়নি, এরকম অবস্থায় যেই ট্রায়ালের কথা বলা হচ্ছিল আর গ্রুপে ম্যাসেজ শেয়ার করা হচ্ছিল সেগুলি সব মিথ্যা আর গুজব। আবার অন্যদিকে রাগি গ্রামবাসীদের দ্বারা সব টাওয়ার বন্ধ করার পরে এখন ওই এলাকায় নেটওয়ার্কের সমস্যা দেখা যাচ্ছে যার ফলে অনলাইনে রেশন আর পেন্শান দিতে অসুবিধা হচ্ছে।
টাওয়ারের রেডিয়েশন হবে চেক
রিপোর্ট অনুযায়ী গ্রামবাসীদের দাবি রেডিয়েশন বেশি হওয়ার কারনে তাদের গ্রামের লোকেদের মৃত্যু হচ্ছে আর এই জন্যই তারা মোবাইল টাওয়ার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। গ্রামবাসীদের জন্য এখন জেলা প্রশাসন সেইসব টাওয়ারের রেডিয়েশন চেক করার দাবি করেছে যার ফলে পরিস্কার হয়ে যাবে যে ওই মোবাইল টাওয়ার থেকে বেড়ানো রেডিয়েশনের লেয়ার কি আর তা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক কিনা।
এখানে পরিস্কার করে দিই যে যাদের মৃত্যু ওই গ্রামে হয়েছে তাদের আত্মীয়রা কোনো রকম টেস্ট করায়নি, এটা শোনার পরে চিকিৎসকরা বলছে যে তাদের মৃত্যুর কারণ কোরোনা ভাইরাসও হতে পারে। কিন্তু টেস্ট না করানোয় মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হয়নি।
যদি আপনার মনে কোনো সন্দেহ বা প্রশ্ন থাকে যে সত্যি কি 5G এর কারণে মানুষের মৃত্যু হতে পারে বা এই 5জী টেকনিক কোনো ভয়ংকর রোগের কারন হতে পারে তাহরে আগে আমরা এইসব কথারই বিস্তারে জবাব দিয়েছি। ইন্ডিয়াতে 5জী ট্রায়াল কি সত্যিই ভয়ংকর প্রমাণিত হচ্ছে। এইসব জানার জন্য (এখানে ক্লিক করুন)
আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন