Highlights
ভারতীয় টেলিকম ইন্ডাস্ট্রি কয়েক বছর ধরে অনেক পরিবর্তন দেখেছে। প্রথমে 4G এবং এখন 5G নেটওয়ার্ক দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারে ব্যাপক প্রসার ঘটেছে এবং ফ্রি কলিং এর কারণে এখন ব্যালেন্স ফুরিয়ে যাওয়ার টেনশনের অবসান ঘটেছে। আগের থেকে সুবিধা অনেক বেড়েছে, কিন্তু তারপরও মোবাইল ইউজারদের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ডেটা এবং আনলিমিটেড ফ্রি কলিং সংক্রান্ত সমস্যাগুলির উন্নতি প্রয়োজন। এই পোস্টে আমি আপনাদের এটাই জানাবো যে ভারতীয় ইউজারদের কাছে আনলিমিটেড ডেটা না আনলিমিটেড কলিং কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ! আরও পড়ুন: [Exclusive] 28,999 টাকা দামে আসতে চলেছে 6GB RAM যুক্ত Samsung Galaxy A34 5G স্মার্টফোন
টেলিকম কোম্পানিগুলির কলিং সার্ভিস অনুযায়ী রিচার্জ করার পরে, আউটগোয়িং কলিং ফ্রিতে পাওয়া যায়, তবে রিচার্জ শেষ হওয়ার পরে এই সুবিধাটি পাওয়া যায় না। তবে যদি এটি শুধুমাত্র আউটগোয়িং কলগুলির বিষয়ে হত তাহলে সম্ভবত এটি পরিচালনা করা যেত। কিন্তু সমস্যাটি হল রিচার্জ প্ল্যান শেষ হওয়ার পরে এখন টেলিকম কোম্পানিগুলো ইনকামিং কলের সুবিধাও দিচ্ছে না।
Jio, Airtel এবং Vi তিনটি বেসরকারি টেলিকম কোম্পানি তাদের নেটওয়ার্কে ফ্রি ইনকামিং কল প্রদান করছে না। সিম রিচার্জ করলেই ইনকামিং কল পাওয়া যাচ্ছে। রিচার্জ শেষ হলে কলিংও শেষ। Jio যখন 2015-16 সালে মার্কেটে প্রবেশ করেছিল তখন বলা হয়েছিল ফ্রি কল দেওয়া হবে। কিন্তু এখন বেসরকারি কোম্পানিগুলি সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে।
আগে ফোনে কথা বলার সময় মিনিটের দিকে খেয়াল রাখা হতো। ফোনে যত টাকা থাকত, ততই কথা হতো এবং তার পর ব্যালেন্স শেষ হয়ে যেত। কিন্তু ফোনে ব্যালেন্স না থাকলেও ফোনে কল আসত। কিন্তু এখন আর তা হয় না। এখন 28 দিনের জন্য আনলিমিটেড কলের আনন্দ নেওয়া গেলেও রিচার্জের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে আউটগোয়িং এবং ইনকামিং উভয় কলই শেষ হয়ে যায়। আরও পড়ুন: শুরু হল 11 5G ব্যান্ড সাপোর্টেড Samsung Galaxy A54 এবং A34 এর সেল, জেনে নিন দাম, অফার এবং ফিচার
রিচার্জ প্ল্যানের ভ্যালিডিটি শেষ হয়ে গেলে আউটগোয়িং কল বন্ধ হয়ে যায় এবং কয়েক দিনের মধ্যে ইনকামিং কলও বন্ধ হয়ে যায়। প্ল্যানের শেষ দিনগুলিতে কোথাও আপনি যদি একটি কল করেন আগে আপনাকে রিচার্জ করার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। জরুরী সময়ে এটি অত্যন্ত বিরক্তিকর হয়ে ওঠে।
টেলিকম কোম্পানিগুলোর দেওয়া ইন্টারনেট সুবিধা সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, বেশিরভাগ দৈনিক ভ্যালিডিটি যুক্ত ডেটা প্ল্যানগুলি 4G নেটওয়ার্কে উপলব্ধ, যার মধ্যে প্রতিদিন 1GB, 2GB এবং 3 GB ইন্টারনেট ব্যবহার করা যেতে পারে। যেখানে কোনও দৈনিক ভ্যালিডিটি নেই, সেখানে রিচার্জ প্ল্যানের ভ্যালিডিটি অনুযায়ী GB ডেটা পাওয়া যায়। যে প্ল্যানে আনলিমিটেড ডেটা দেওয়া হচ্ছে, ইন্টারনেট একটা নির্দিষ্ট লিমিটের পরে চলে কিন্তু এর স্পিড অনেক কম হয়ে যায়।
অন্যদিকে Jio Welcome Offer এর অধীনে 5G সম্পর্কে কথা বললে, কোম্পানি Jio গ্রাহকদের আনলিমিটেড 5G ডেটা দিচ্ছে। এই সুবিধা সেই সব নির্বাচিত ইউজারদের দেওয়া হচ্ছে যাদেরকে Jio True 5G গ্রাহক হওয়ার জন্য কোম্পানির আমন্ত্রণ পাঠানো হচ্ছে। কোম্পানির তরফে জানানো হচ্ছে যে Jio নেটওয়ার্কে 1Gbps ইন্টারনেট ডেটা স্পিড পাওয়া যাবে। কিন্তু বাস্তবে 1 Gbps স্পিডসহ আনলিমিটেড ডেটা পাওয়া যায় না। আরও পড়ুন: AnTuTu তালিকায় প্রকাশিত Realme GT Neo 5 SE স্মার্টফোনের স্পেসিফিকেশন, এইদিন হবে লঞ্চ
এখানে সব বিষয় জানার পরে সবার প্রথমে এটি বোঝা গেল যে টেলিকম কোম্পানিগুলোর গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সব কিছু করা উচিত। কারণ এখানে প্রত্যেকের চাহিদা ভিন্ন হতে পারে। কিছু মোবাইল ইউজার ফোনে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, আবার কেউ কেউ ফোনটি শুধুমাত্র কল রিসিভ এবং করার জন্য ব্যবহার করেন।
তাই এই পরিস্থিতিতে যে সমস্ত গ্রাহকরা টেলিকম পরিষেবায় বেশি অর্থ ব্যয় করেন তারা সম্ভবত আনলিমিটেড ডেটা পছন্দ করবেন। আর যারা ফোনের সীমিত ব্যবহার করেন তারা আনলিমিটেড কলিং এবং ফ্রি ইনকামিং পেতে চান। আপনি আপনার টেলিকম কোম্পানির কোন পরিষেবাটি উন্নত করতে চান এবং আপনার কি চাহিদা সেটা কমেন্টে লিখুন৷
আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন