ল গ্ৰেফতার, মুম্বাই পুলিশ করল গ্ৰেফতার
আজকাল খুব কম সময়ে এবং অনেক বেশি পরিমাণে কোনো মিডিয়া কন্টেন্ট ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। টেক্সট ম্যাসেজের সঙ্গে ফোটো, ভিডিও, অডিও, জিএফ ও পিডিএএফের মতো ফাইল খুব সহজেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো যায় এবং কোনোরকম অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই। পার্সোনাল চ্যাটের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপের সাহায্যে একই সঙ্গে একটি ম্যাসেজ অনেককে পাঠানো যায়। কিন্তু এটাও অস্বীকার করা যায় না যে এইভাবে গ্ৰুপের মাধ্যমে পর্ন কন্টেন্ট অর্থাৎ অশ্লীল ফাইলও ছড়ানো হয়। হোয়াটসঅ্যাপ সম্পর্কে এমনই একটি খবর পাওয়া গেছে যেখানে বলা হয়েছে মুম্বাইয়ের এক যুবককে পর্ন গ্ৰুপের অ্যাডমিন হওয়ার অপরাধে গ্ৰেফতার করা হয়েছে।
জিও দিচ্ছে ফ্রিতে 8 জিবি 4জি ডেটা, জেনে নিন নিজের নাম্বারে কিভাবে এই বিনামূল্যের সুবিধা পাবেন
মুম্বাই পুলিশ হোয়াটসঅ্যাপে অশ্লীল কন্টেন্ট শেয়ার করার অপরাধে এক 24 বছর বয়সী যুবককে গ্ৰেফতার করেছে। এই যুবকের নাম মুশতাক আলি শেখ এবং সে ধারাবী এলাকার বাসিন্দা। এই যুবক এমন এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপের অ্যাডমিন ছিলেন যার নাম “Triple XXX”। এই যুবকের বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপের মাধ্যমে নগ্ন ফোটো ও অশ্লীল ভিডিওর মতো পর্ন কন্টেন্ট শেয়ার করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে এই যুবককে গ্ৰেফতার করা হয়। এই মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান যে তাকে “Triple XXX” নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপে যোগ করা হয়। প্রথমে তার মনে হয় হয়তো তারই কোনো বন্ধু মজা করার জন্য কোনো গ্ৰুপের এরকম নাম রেখেছে। কিন্তু যখন গ্ৰুপে নগ্ন ফোটো ও পর্ন ভিডিও শেয়ার করা হয় তখন তার কাছে পুরো বিষয় পরিস্কার হয়ে যায়।
মাত্র 3,999 টাকা দামে লঞ্চ হল বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা টিভি, ইন্ডিয়ান কোম্পানি করল কিস্তিমাত
পর্ন কন্টেন্ট গ্ৰুপে আসার পর তিনি লক্ষ্য করেন গ্ৰুপে তিনি ছাড়া আরও 12 জন মানুষ আছেন। ওই মহিলার কাছে অ্যাডমিনসহ 12 জনের কারোর নাম্বারই সেভ ছিল না এমনকি কাউকে চেনেনও না। তখন তিনি পুলিশের কাছে সব জানান। গত বৃহস্পতিবার পুলিশ গ্ৰুপ অ্যাডমিন মুশতাক আলি শেখকে গ্ৰেফতার করে। জেরার সময় মুশতাক জানায় ওই মহিলাকে এক পরিচিতর নাম্বারের সঙ্গে ভুল করে মিলিয়ে ফেলেন এবং সে জানত না এটা একজন অপরিচিতা মহিলার নাম্বার।
গ্ৰুপ অ্যাডমিন আরও জানায় সে জানেই না যে তার ফোনে এই মহিলার নাম্বার কি করে এল। পুলিশ এই ঘটনা সামলে নিলেও ভারতে পর্নোগ্রাফি হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার ও নিয়মাবলীর ওপর প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগ প্রমাণের জন্য অভিযুক্তের ফোন ল্যাবে পাঠানো হয় এবং যদি এই মহিলার অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয় তবে আইটি অ্যাক্ট, 2000 এর ভিত্তিতে অভিযুক্তের 5 বছর জেল হবে। এধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি হলে অভিযুক্তের 7 বছর জেল ও 10,00,000 টাকা জরিমানার নিয়ম আছে।