70 হাজার টাকার বিনিময়ে চীন থেকে ইমপোর্ট করা Xiaomi Mi 11 Ultra কেনা কি উচিত হবে?

এই মাসের আগামী 23 এপ্রিল Xiaomi Mi 11 Ultra লঞ্চ করা হবে। আজ একটি লিক থেকে জানা গেছে ভারতে এই ফোনটি 70 হাজার টাকা দামে সেল করা হবে। এটি এখনও পর্যন্ত কোম্পানির সবচেয়ে সস্তা স্মার্টফোন হতে চলেছে। কিন্তু দাম শোনার পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ওঠে শাওমি স্মার্টফোনের জন্য কি 70 হাজার টাকা খরচ করা ঠিক হবে? যদিও এত দিন কোম্পানি কম দামে হাই কোয়ালিটি স্পেসিফিকেশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিত। কিন্তু আজকাল কোম্পানি যথেষ্ট দামি রেঞ্জের স্মার্টফোন লঞ্চ করে। মনে করিয়ে দিই কয়েক মাস আগে ভারতে লঞ্চ করা মি 10 স্মার্টফোন 50 হাজার টাকা দামে পেশ করেছিল। এক‌ইভাবে রেডমি নোট সিরিজের স্মার্টফোন যেখানে 10 হাজার টাকারও কম দামে সেল করা হত সেখানে বর্তমানে 20 হাজার টাকার রেঞ্জ ছুঁইছুঁই করছে।

কেন এত দামি হতে চলেছে Xiaomi Mi 11 Ultra?

NDTC এর রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে Xiaomi Mi 11 Ultra ফোনটি 70 হাজার টাকার বাজেটে লঞ্চ করা হবে। তবে ফোনের এত বেশি দামের পেছনে যথাযথ কারণ‌ও দেখানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, এই ফোনটি ভারতে তৈরির বদলে চীন থেকে ইম্পোর্ট করা হবে। তাই শুরুতে ফোনটি এত দামি হবে। তবে পরবর্তী সময়ে ফোনটি ভারতে তৈরি করা হলে এর দাম কিছুটা কম হতে পারে, তবে প্রথমেই এর সম্ভাবনা নেই। তবে চীনেও ফোনটির দাম 60 হাজার টাকার ওপরেই।

Xiaomi Mi 11 Ultra কেনা কি ঠিক হবে?

এবার প্রশ্ন ওঠে 70 হাজার টাকা খরচ করে Xiaomi Mi 11 Ultra কেনা কি ঠিক হবে? শাওমি এত দিন কম দামের সুন্দর স্পেসিফিকেশনযুক্ত স্মার্টফোন লঞ্চ করে এসেছে। কিন্তু কয়েক মাস আগে মি 10 সিরিজের ক্ষেত্রে দাম রাখা হয় 49,999 টাকা। এই ফোনটি খুব একটা সফল‌ও হতে পারেনি। সেখানে দাঁড়িয়ে 70 হাজার টাকা দামের স্মার্টফোন কতটা সফল হবে তা বোঝাই যাচ্ছে।

Xiaomi Mi 10 সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া

Xiaomi Mi 10 ফোনটি লঞ্চের কিছু দিনের মধ্যেই ফোনটি অফলাইন মার্কেটে সেল করে দেওয়া হয়। একদিকে অফলাইন মার্কেটে ফোনটির এতটুকুও চাহিদা ছিল না অন‍্যদিকে কোম্পানি কয়েকটি শর্তের বিনিময়ে আমাদের সঙ্গে কথায় কথায় অনেক রিটেইলাররাই এই কথা জানিয়েছেন।

Xiaomi Mi 11 Ultra এর স্পেসিফিকেশন

কোম্পানি চীনে ইতিমধ্যে Xiaomi Mi 11 Ultra লঞ্চ করে দিয়েছে। এই ফোনে কোয়ালকম স্ন‍্যাপড্রাগন 888 চিপসেটের সঙ্গে 12 জিবি র‍্যাম ও 512 জিবি স্টোরেজ আছে। এতে 120 হার্টস রিফ্রেশরেটযুক্ত 6.8 ইঞ্চির সুপার এমোলেড স্ক্রিন দেওয়া হয়েছে। পাওয়ার ব‍্যাক‌আপের জন্য এই ফোনে 67 ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টেড 5,000 এম‌এএইচের ব‍্যাটারী রয়েছে। ফোটোগ্রাফির জন্য এতে 50 মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক‍্যামেরা সেন্সরের সঙ্গে 48 মেগাপিক্সেলের সেকেন্ডারি এবং 48 মেগাপিক্সেলের তৃতীয় লেন্স দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সেলফির জন্য এই ফোনে 20 মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক‍্যামেরা আছে।

আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here