ইন্ডিয়ান মোবাইল মার্কেট গোটা বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলা মার্কেটগুলির মধ্যে একটি। এমনকি আমেরিকা ও চীনের মতো দেশগুলিকেও পেছনে ফেলে ভারত এখন এগিয়ে চলেছে। 2017 সালের তুলনায় 2018 সালে 10 শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। একই সঙ্গে এটা দেখে অবাক হতে হয় বিশ্বের অন্যান্য দেশের বাজারে মোবাইল শিপমেন্টে অবনতি হয়েছে। দেশের মোবাইল মার্কেট বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জিও একের পর এক পদক্ষেপে সমগ্র বিশ্বে নাম কামিয়ে নিয়েছে। এবার জিও এই প্রতিযোগিতায় শাওমিকেও পেছনে ফেলে দিয়েছে।
ভারতের মোবাইল বাজার সম্পর্কে বিখ্যাত রিসার্চ ফার্ম কাউন্টারপয়েন্ট একটি নতুন রিপোর্ট পেশ করেছে, যেখানে গত বছর অর্থাৎ 2018 সালের শেষ তিন মাসে বিভিন্ন টেক কোম্পানি ও মোবাইল ব্র্যান্ডগুলির সেল ও শিপমেন্টের হিসাব দেখানো হয়েছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী রিলায়েন্স জিও দেশের মোবাইল বাজারে সবচেয়ে বেশি গ্ৰোথ করেছে। 2017;সালে ভারতের ফিচার ফোনের বাজারে জিওর 11 শতাংশ শেয়ার ছিল। কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যে জিও এই শেয়ার 27 শতাংশ বাড়িয়ে ফিচার ফোন বাজারের 38 শতাংশ দখল করে নিয়েছে।
জিও এবছর এতটাই দ্রুততার সঙ্গে ওপরে উঠেছে যে কোম্পানি শাওমি ও স্যামসাংকেও পেছনে ফেলে দিয়েছে। জিও যেখানে 27 শতাংশ শেয়ার বৃদ্ধি করেছে সেখানে দাঁড়িয়ে শাওমি মাত্র 9 শতাংশ বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। স্মার্টফোন বাজার সম্পর্কে বলতে গেলে এই লিস্টে শাওমিই সবচেয়ে ওপরে আছে। 2018 সালে কোম্পানির কাছে 28 শতাংশ মার্কেট শেয়ার ছিল। 2017 সালে শাওমির 19 শতাংশ মার্কেট শেয়ার গত বছর বেড়ে 28 শতাংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শাওমিকে টক্কর দিতে স্যামসাং লঞ্চ করল অত্যন্ত সস্তা নচযুক্ত স্মার্টফোন
শাওমির পরে স্যামসাং দ্বিতীয় স্থানে দাঁড়িয়ে আছে। স্যামসাং গোটা বছরে স্মার্টফোন মার্কেটের 24 শতাংশ দখল করে রেখেছে। স্যামসাঙের পর অন্যান্য কোম্পানিগুলির মধ্যে অধেকটাই পার্থক্য দেখা যায়। এই লিস্ট অনুযায়ী ভিভো 10 শতাংশ ও ওপ্পো 8 শতাংশ শেয়ার দখল করেছে। এই লিস্টে ইন্ডিয়ান স্মার্টফোন ব্র্যান্ড মাইক্রোম্যাক্সের নামও আছে। মাইক্রোম্যাক্স গত বছর 5 শতাংশ মার্কেট দখল করে রেখেছে।
ফিচার ফোন মার্কেটে জিও 38 শতাংশ শেয়ারের সঙ্গে প্রথম স্থানে রয়েছে। জিও শুধুমাত্র জিওফোন ও জিওফোন 2 এই দুটি ফিচার ফোনই লঞ্চ করেছে। মাত্র দুটি ফিচার ফোনের দৌলতে এত বড় স্থান জিওকে অন্যান্য কোম্পানির থেকে আলাদা বানায়। জিওর পরে 12 শতাংশ শেয়ারের সঙ্গে স্যামসাং দ্বিতীয় ও আইটেল তৃতীয় স্থানে আছে।
শাওমি শুরু করল “মি ডেজ”, 5,000 টাকা পর্যন্ত কম দামে পাওয়া যাবে কোম্পানির স্মার্টফোন
প্রসঙ্গত ফিচার ফোনের বাজারে স্যামসাংকে অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। 2017 সালে স্যামসাঙের কাছে 21 শতাংশ ফিচার ফোন মার্কেটের দখল ছিল কিন্তু 2018 সালে এটি কমে 12 শতাংশে নেমে আসে। একই ভাবে নোকিয়া ফোন প্রস্ততকারী কোম্পানি এইচএমডি গ্লোবাল 7 শতাংশ শেয়ারের সঙ্গে চতুর্থ স্থানে এসেছে। নোকিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লাভার কাছেও ফিচার ফোন বাজারের 7 শতাংশ শেয়ার আছে।
আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন