জেনে নিন কিভাবে লম্বা লাইনের ঝামেলা ছাড়াই অনলাইনে বানাবেন Driving License

আজকের দিনে দাঁড়িয়েও বহু মানুষের কাছে নতুন কোনো ডকুমেন্ট বানানোর জন্য অনলাইনের চেয়ে সরকারি অফিস বেশি সুবিধার মনে হয়, আর তাই তারা কাগজে কলমে কাজ করতে গিয়ে লম্বা লাইনের শিকার হন। অথচ সঠিক তথ্য জানা থাকলে অতি সহজেই বাড়িতে বসে প্রায় সব ধরনের ডকুমেন্ট বানিয়ে ফেলা যায়। এই কারণে আমরা প্রায়ই এমন কোনো টিপস অ্যান্ড ট্রিকস আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি যারসাহায্যে অতি সহজেই আপনারা ভোগান্তির হাত থেকে বাঁচবেন এবং আপনাদের কাজ‌ও হয়ে যাবে। আজ আমরা আপনাদের অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে জানাবো। 

আরও পড়ুন: জেনে নিন Android ফোন থেকে ডিলিট হয়ে যাওয়া ফোটো ও ভিডিও রিকভার করার উপায়

কোন কোন ডকুমেন্ট প্রয়োজন?

সবার আগে জেনে রাখা দরকার অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স বানানোর জন্য কোন কোন ডকুমেন্ট হাতের কাছে রাখতে হবে। ঠিকাদার প্রমাণপত্র হিসেবে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ইলেকট্রিক বিল, টেলিফোন বিল, রেশন কার্ড বা যে কোনো সরকারি মান‍্যতা প্রাপ্ত আইডি কার্ড স্ক‍্যান করে রাখতে হবে।

বয়সের প্রমাণ হিসেবে রাখতে হবে দশম শ্রেণীর অ্যাডমিট, বার্থ সার্টিফিকেট, প‍্যান কার্ড বা এফিডেভিটের স্ক‍্যান। এছাড়া লাগবে পাসপোর্ট সাইজ ফোটো।

লার্নিং লাইসেন্সের জন্য অনলাইন অ্যাপ্লাই কিভাবে করবেন?

– সবার আগে parivahan.gov.in ওপেন করে ‘Driving license related services’ এ ক্লিক করুন।

আরও পড়ুন: Amazon – Flipkart থেকে শপিঙের সময় জোচ্চুরির হাত থেকে বাঁচাবে এই 5টি বিষয়, আর হবে না ঠকতে

– এরপর নিজের রাজ‍্য সিলেক্ট করে লার্নিং লাইসেন্স অপশনে ক্লিক করুন।

–  এরপর আপনার থেকে কিছু ডিটেইলস জানতে চাওয়া হবে।

– এইসব ডিটেইলস দেওয়ার পর একটি ফর্ম আসবে।

– এই ফর্মটি ফিল‌আপ করার পর অনলাইন পদ্ধতিতে ফীজ পেমেন্ট করতে হবে।

আরও পড়ুন: এই পাঁচটি পদ্ধতি অনুসরণ করে জেনে নিন আপনার আধার কার্ড আসল না নকল?

– এরপর ডকুমেন্ট, ফোটো, সিগনেচার আপলোড করতে হবে।

– এরপর আপনার সুবিধা অনুযায়ী যেদিন অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষা দিতে চান সেদিনের স্লট বুক করতে হবে।

– লার্নার লাইসেন্সের টেস্টে পাস করলে 6 মাস ভ‍্যালিডিটিসহ লার্নিং লাইসেন্স দেওয়া হবে। আর যদি কেউ ফেল করে সেক্ষেত্রে পুনরায় কিছু ফীজ দিয়ে আবার অনলাইন টেস্টের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

লার্নার লাইসেন্স পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অ্যাপ্লাই করতে হবে। পরবর্তী প্রসেসের জন‍্য‌ও অনলাইনে ফর্ম ফিল‌আপ করতে হবে। এরপর আপনাকে ড্রাইভিং টেস্টের জন্য ডাকা হবে। এই টেস্টের জন্য নির্ধারিত দিনে আধিকারিকের সামনে উপস্থিত হতে হবে। এখানে আপনি টু হুইলার, ফোর হুইলার বা অন্য যে গাড়ির লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন সেই গাড়ি চালিয়ে দেখাতে হবে। এর জন্য সাথে গাড়ি থাকা আবশ্যিক।

আরও পড়ুন: এই দশটি পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব সহজে নিজেই বদলাতে পারবেন আপনার আধার কার্ডের নাম, ঠিকানাসহ অন‍্যান‍্য ডিটেইলস

এই টেস্টে পাস করলে মোটর ভেহিকেল ইন্সপেক্টর আপনার আবেদন মঞ্জুর করে দেবেন। এর কিছু দিনের মধ্যেই আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পেয়ে যাবেন।

Note: parivahan.gov.in ওয়েবসাইটে অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, বিহার, ছত্তিশগড়, চন্ডীগড়, দিল্লি, গোয়া, গুজরাট, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, কেরালা, লাদাখ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল‍্যান্ড, ওড়িশা, পন্ডিচেরী, পাঞ্জাব, রাজস্থান, সিকিম, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা, দাদরা নগর হাভেলী এবং দিউ দমন, উত্তরাখন্ড, উত্তর প্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে পারবেন।

আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here