মোবাইল থেকে ভিডিও বানাতে চান? জেনে নিন সেরা 5টি ভিডিও এডিটিং অ্যাপের ডিটেইলস

আজকাল ইনস্টাগ্রাম রিলস, ইউটিউব শর্টস ইত্যাদির জন্য ভিডিও আপলোড করার প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। আপনি যদি ভিডিও তুলতে ভালোবেসে থাকেন এবং ভালো ভিডিও এডিটিং অ্যাপের সন্ধ্যানে থাকেন তাহলে Android, iOS, ওয়েব এবং ডেস্কটপে ভিডিও এডিটিং অ্যাপের প্রচুর অপশন রয়েছে। আরও পড়ুন: 15 হাজার টাকা দামে পাবেন 108MP ক্যামেরা এবং 16GB RAM পাওয়ারসহ Infinix Note 30 5G স্মার্টফোন, জেনে নিন স্পেসিফিকেশন

2023 সালের 5টি সেরা ভিডিও এডিটিং অ্যাপ

Adobe Premiere Rush

ভিডিও এডিটিং এর জন্য Adobe Premiere Rush একটি দুর্দান্ত অ্যাপ। সবথেকে ভালো বিষয়টি হল এটি ক্রস-প্ল্যাটফর্ম সাপোর্ট করে অর্থাৎ আপনি এই অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েডের পাশাপাশি ডেস্কটপেও ব্যবহার করতে পারবেন। এর ইউজার ইন্টারফেস বেশ সহজ। এর UI বড় আইকন এবং প্যানেল সাপোর্ট করে, যার ফলে ভিডিও এডিটিং অনেক সহজ হয়ে যায়। এই অ্যাপে ফুটেজ ড্র‍্যাগ এবং ড্রপ করা, কালার ঠিক করা,মিউজিক বা ভয়েসওভারে এডিটিং করা, টাইটেল যোগ করা ইত্যাদি অনেক সহজ। Adobe এর প্রিমিয়ার রাশ শুধুমাত্র নতুনদের জন্যই নয়, এটি পেশাদার ভিডিও এডিটরদের জন্যও উপযোগী। এই অ্যাপটির ফ্রি এবং পেইড দুটো ভার্সনই রয়েছে।

প্ল্যাটফর্ম: Android, iOS, iPad, Windows এবং macOS

LumaFusion

আপনি যদি সাধারণ ইন্টারফেস সহ একটি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ খুঁজে থাকেন তাহলে LumaFusion একটি ভালো অপশন হতে পারে। এই ভিডিও এডিটিং অ্যাপ ডেস্কটপ গ্রেড ভিডিও এডিটিং এর সুবিধা প্রদান করে। এটি একটি নন-লিনিয়ার এডিটিং টুল, যেটা কঠিন প্রজেক্টের জন্যও ব্যবহার করা হয়। এতে মাল্টি-ট্র্যাক এডিটর রয়েছে, যেমন ভিডিও/টাইটেল/গ্রাফিক্স এবং অডিওর জন্য 6টি, ওভারলেড ইফেক্টের জন্য 6টি টুল, মিউজিক, ভয়েসওভারের জন্য 6 টুল রয়েছে। এই অ্যাপে ট্র্যাক লক করা যেতে পারে, লুকানো যেতে পারে এবং যদি ইচ্ছা হয় মিউট করে রাখা যায়। অ্যান্ড্রয়েডের সাথে আইফোনেও সবকিছু ভালভাবে পরিচালনা করা যায়। এতে আপনি কালার কারেকশন থেকে শুরু করে অডিও মিক্সচার পর্যন্ত একাধিক এডিটিং টুল পাবেন।

প্ল্যাটফর্ম: iOS, iPad, Android

Quik

আপনি যদি ভিডিও এডিটিং করেন তাহলে আপনি আপনার ফুটেজ এডিটিং করার জন্য Quik অ্যাপটিও ব্যবহার করতে পারেন। এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি GoPro ডিভাইসগুলি রিমোটলি কন্ট্রোল করার পাশাপাশি GoPro ফুটেজ এডিট করার সুবিধা পাবেন। Quik অটোমেটিক ভাবে ফুটেজ ইমপোর্ট করে এবং AI টাচের সাথে কাজ করে। যখন আপনি একাধিক ফটো এবং ভিডিও নির্বাচন করবেন তখন অ্যাপটি অটোমেটিক ভাবে আপনার সেরা মুহূর্তগুলি সিলেক্ট করে তাতে সিনেমাটিক ইফেক্ট এবং মিউজিক অ্যাড করে, তারপর দুর্দান্ত ভিডিও ডেলিভার করে। এতে আপনি চাইলে মিউজিক, ফটো, টাইটেল, টাইমল্যাপস সিকোয়েন্স ইত্যাদি ফুটেজের সাথে যোগ করতে পারেন। তারপর ভিডিও এডিটিং করার পরে, আপনি এটি সরাসরি Instagram, Facebook, YouTube ইত্যাদিতে আপলোড করতে পারেন। এই অ্যাপটি ‘স্মার্ট এডিট’ ফাংশন সাপোর্ট করে।

প্ল্যাটফর্ম: iOS, Android

KineMaster

আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটির হন, তাহলে আপনি KineMaster অ্যাপটিও ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এই অ্যাপটি iOS এবং Android উভয় প্ল্যাটফর্মের জন্য উপলব্ধ। এই অ্যাপটি একটি মাল্টি-লেয়ার ইন্টারফেসের মাধ্যমে আপনার ফোন বা ট্যাবলেটে ফুটেজ তোলার পাশাপাশি এডিট এবং এক্সপোর্ট করার সুবিধা দেয়। এর বিশেষ ফিচারগুলি হল এতে আপনারা ব্লেন্ডিং মোড, ক্রোমা-কিয়িং এবং অডিও মিক্সিং পাবেন। KineMaster ফ্রেম-বাই-ফ্রেম গ্রানুলারিটি সহ ক্লিপ এবং লেয়ারগুলি ট্রিম অন্যতম সেরা ভিডিও এডিটিং অ্যাপ। এতে ইনস্ট্যান্ট প্রিভিউ , ভলিউম এনভেলপ কন্ট্রোল, কালার LUT ফিল্টার, স্পিড কন্ট্রোল , 3D ট্রানজিশন এবং আরও অনেক ফিচার রয়েছে। Kinemaster ভিডিওতে একটি ওয়াটারমার্ক যোগ করে, যা অপসারণ করতে আপনাকে মেম্বারশিপ নিতে হবে।

প্ল্যাটফর্ম: Android, iOS

Filmora

Filmora অ্যান্ড্রয়েড এবং iOS এর জন্য দুর্দান্ত ভিডিও এডিটিং অ্যাপ। এতে ভিডিও এডিটিং সহ সব বেসিক টুল রয়েছে। আপনি যদি চান এই অ্যাপে আপনি ভিডিও ট্রিম এবং বিভক্ত করতে পারেন, ভিডিওর স্পিড এডজাস্ট করতে পারেন, এমনকি ভলিউম কন্ট্রোল করতে পারেন৷ এছাড়াও এতে থিমযুক্ত ফিল্টার এবং ইফেক্টও রয়েছে। এই অ্যাপটির সাহায্যে যে কেউ ভালো ভাবে ভিডিও এডিট করেতে পারবে। এটি টেকনিক্যাল দিক থেকে একটি ফ্রি অ্যাপ, তবে ভিডিওগুলিতে ওয়াটারমার্ক পাওয়া যাবে। আপনি যদি পেইড ভার্সন নেন, তাহলে ভিডিও থেকে ওয়াটারমার্ক সরে যাবে।

প্ল্যাটফর্ম: Android, iOS

আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here