এত দিন অনেক হলিউড-বলিউডের মুভিতেই উড়ন্ত গাড়ি দেখা গেছে। এই ধরনের গাড়ি দেখে প্রায়ই সময়ই আমাদের মনে একটাই কথা আসে, যদি এমনটা সত্যিই হতে পারত? তাহলে জেনে রাখুন খুব তাড়াতাড়ি বেশিরভাগ সাধারণ মানুষের মনের এই প্রশ্ন সত্যি হতে চলেছে। কারণ 2022 শেষ হওয়ার আগেই মার্কেটে উড়ন্ত গাড়ি চলে আসবে বলে জানা গেছে। ভারতে আসার এখনও বেশ কিছু সময় লাগলেও আগামী বছর আমেরিকাতে এই গাড়ি লঞ্চ করা হবে। ফেডেরাল অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইউএস (Federal Aviation and Administration U.S.) এর পক্ষ থেকে বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত গাড়ি অর্থাৎ Flying Car কে অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে এবং আগামী বছরের মধ্যেই এটি লঞ্চও করে দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: Vivo কমিয়ে দিয়েছে 32MP ক্যামেরাযুক্ত Vivo V20 SE এর দাম, এখন থেকে বেচা হবে নতুন দামে
এত কিছু শোনার পর আপনার মনেও নিশ্চয়ই অনেক প্রশ্ন জাগছে? কেমন হবে এই গাড়ি, কারা তৈরি করছে, কি কি বিশেষত্ব থাকবে এবং কিভাবে চলবে এই গাড়ি? চলুন এক এক করে সব কটি প্রশ্নের উত্তর জেনে নেওয়া যাক।
কারা বানাচ্ছে Flying Car?
বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত গাড়ি তৈরির কৃতিত্ব পাবে ম্যাসাসুসেটসে অবস্থিত টেরাফুজিয়ার ট্রানজিশন কোম্পানি (Transition, Terrafugia, Massachusetts)। কয়েক দিন আগেই কোম্পানি FAA কর্তৃক স্পেশাল লাইট সাপোর্ট এয়ারক্রাফট অর্থাৎ উড়ন্ত গাড়ির অনুমোদন পেয়েছে। সবার আগে এই রিপোর্ট প্রকাশ করে Forbs। কোম্পানি গত 2006 থেকে এই গাড়ির ডিজাইনে কাজ করছিল এবং কিছু দিন আগে 80 দিনের টেস্টিঙে সফল হয়েছে।
বিশেষত্ব
ট্রানজিশনের তৈরি এই ফ্লাইং কারের বিশেষত্ব সম্পর্কে জেনে অবাক হতে হয়। এই গাড়ির দৈর্ঘ্য 27 ফুট, তবে কয়েক মিনিটের মধ্যে একে ফোল্ড করে অত্যন্ত কম্প্যাক্ট করে নেওয়া যায়। এতে Flight Mode ও Drive Mode নামের দুটি মোড রয়েছে। ফ্লাইট মোডে গাড়িটির উচ্চতা, দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে 7.5 × 19.5 × 27.2 ফুট। ড্রাইভের মোডের ক্ষেত্রে এই মাপ অত্যন্ত ছোট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে উচ্চতা ও দৈর্ঘ্য আগের মতোই 7.5 ফুট ও 19.5 ফুট থাকলেও চওড়ায় গাড়িটি 27.2 ফুট থেকে কমে 6.9 ফুট হয়ে যায়।
ড্রাইভ মোডে গাড়িটি যে কোনো সাধারণ গাড়ির মতো রাস্তায় চালানো যায়। কিন্তু ফ্লাইট মোড অ্যাক্টিভ করলেই আকাশে উড়বে। এবার প্রশ্ন ওঠে সড়কপথ ও আকাশপথে চলার জন্য কি ধরনের জ্বালানি ব্যবহৃত হবে? জানিয়ে রাখি কোম্পানি এতে 91 অক্টেন গ্যাস ব্যবহার করেছে এবং এই ফিউল রাস্তায় ও আকাশে উভয় ক্ষেত্রেই কার্যকর।
কোম্পানি তাদের এই গাড়িতে ড্রাইভ মোডের জন্য হাইব্রিড ইলেকট্রিক মোটর যোগ করেছে। অর্থাৎ রাস্তায় চলার সময় জ্বালানি সাশ্রয় করবে। সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এতে অন্যান্য আধুনিক উপকরণের সঙ্গে এয়ার ব্যাগ পর্যন্ত আছে। এছাড়াও এই ফ্লাইং কারে তিনটি ক্যামেরা রয়েছে।
মাটিতে এই গাড়ি সর্বোচ্চ 100 মাইল অর্থাৎ 161 কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা স্পীডে চলতে পারবে। অন্যদিকে আকাশে এই স্পীড পৌঁছে যাবে 400 মাইল অর্থাৎ প্রায় 644 কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। এক কথায় বলাই যায় এই গাড়ি আসল খেলা আকাশেই দেখাবে।
আরও পড়ুন: দাম কমল Samsung Galaxy M31s এর, জেনে নিন নতুন দাম
আপনি কি পারবেন উড়াতে?
অবশেষে মনে প্রশ্ন জাগে আমরা কি এই গাড়ি চালাতে পারব? নিরাশ হলেও সত্যি, এই সুযোগ পেতে যথেষ্ট সমস্যা আছে। কারণ এই গাড়ি চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সের পাশাপাশি প্রয়োজন স্পোর্ট পাইলট সার্টিফিকেট।
আমাদের ফেসবুকে ফলো করার জন্য এখানে ক্লিক করুন